দেশি কোন ৬ ঘাতক অস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় সেনা! জেনে নিন

INSAS Rifle: সীমান্তে উত্তেজনা হোক বা শত্রু পক্ষের চোখ রাঙানি, দেশকে এক ধাপ এগিয়ে রাখে বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র

| Edited By: | Updated on: Sep 16, 2021 | 6:11 PM
পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারতীয় সেনার কাছে রয়েছে দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার। সীমান্তে উত্তেজনা হোক বা শত্রু পক্ষের চোখ রাঙানি, দেশকে এক ধাপ এগিয়ে রাখে বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র। বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র আমদানির পাশাপাশি দেশেও বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র উৎপাদন করে ভারত। সাধারণত গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি ও ডিআরডিও অস্ত্র উৎপাদনের দায়িত্বে থাকে। ভারতে তৈরি ৬টি ঘাতক অত্য়াধুনিক অস্ত্র সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

পৃথিবীর শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারতীয় সেনার কাছে রয়েছে দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার। সীমান্তে উত্তেজনা হোক বা শত্রু পক্ষের চোখ রাঙানি, দেশকে এক ধাপ এগিয়ে রাখে বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র। বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র আমদানির পাশাপাশি দেশেও বেশ কিছু অত্যাধুনিক অস্ত্র উৎপাদন করে ভারত। সাধারণত গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টরি ও ডিআরডিও অস্ত্র উৎপাদনের দায়িত্বে থাকে। ভারতে তৈরি ৬টি ঘাতক অত্য়াধুনিক অস্ত্র সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

1 / 6
১) অটো ৯ এমএম ১এ পিস্তল (Pistol Auto 9mm 1A):দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পিস্তলটি ১৯৮১ সাল থেকে সেনা বাহিনীর হাত শক্ত করে আসছে। এটি একটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল। ইশাপুরের রাইফেল ফ্য়াক্টরিতে অটো ৯ এমএম ১এ পিস্তল তৈরি হয়। ৫০ মিটার দূরত্ব অবধি নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম এই পিস্তলটি। এই পিস্তলটি চালাবার সময় ট্রিগারটি ছেড়ে পুনরায় চাপ দিতে হয়।

১) অটো ৯ এমএম ১এ পিস্তল (Pistol Auto 9mm 1A):দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই পিস্তলটি ১৯৮১ সাল থেকে সেনা বাহিনীর হাত শক্ত করে আসছে। এটি একটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল। ইশাপুরের রাইফেল ফ্য়াক্টরিতে অটো ৯ এমএম ১এ পিস্তল তৈরি হয়। ৫০ মিটার দূরত্ব অবধি নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম এই পিস্তলটি। এই পিস্তলটি চালাবার সময় ট্রিগারটি ছেড়ে পুনরায় চাপ দিতে হয়।

2 / 6
২)  ১২ বোর পাম্প অ্য়াকশন গান (12 BORE Pump Action Gun):নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পাম্প অ্য়াকশন গানটি তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘাতক অস্ত্রে ১২টি বোর কার্টরিজ ধরে। ম্যাগাজিন বরাবর স্লাইড করা অপারেটিং হ্যান্ডেলটির দ্বারা কার্তুজের এক্সট্রাকশন এবং লোডিং   একটি 'পাম্প অ্যাকশনে' ঘটে। এর রিলোডিংয়ের সময় কম লাগার ফলে লুকিয়ে থাকা শত্রুদের ওপর আঘাত হানতে কার্যকরী।

২) ১২ বোর পাম্প অ্য়াকশন গান (12 BORE Pump Action Gun):নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পাম্প অ্য়াকশন গানটি তৈরি করা হয়েছিল। এই ঘাতক অস্ত্রে ১২টি বোর কার্টরিজ ধরে। ম্যাগাজিন বরাবর স্লাইড করা অপারেটিং হ্যান্ডেলটির দ্বারা কার্তুজের এক্সট্রাকশন এবং লোডিং একটি 'পাম্প অ্যাকশনে' ঘটে। এর রিলোডিংয়ের সময় কম লাগার ফলে লুকিয়ে থাকা শত্রুদের ওপর আঘাত হানতে কার্যকরী।

3 / 6
৩) একে ২০৩ (AK-203):একে ২০৩ বন্দুকটির মূল নকশা রাশিয়া থেকে আমদানী করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া সফরের পর এই বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হয়। একে ৪৭ এর আধুনিক সংস্করণ হিসেবে এটিকে গ্রাহ্য করা হয়। ৪০০ মিটার দূর থেকে, ১০০ শতাংশ নিখুঁতভাবে এই বন্দুক দিয়ে শত্রুদের ওপর আঘাত হানা সম্ভব। একে ২০৩ অটোমেটিক বন্দুকটির ম্যাগাজিনে একত্রে ৩০টি গুলি ধরে।

৩) একে ২০৩ (AK-203):একে ২০৩ বন্দুকটির মূল নকশা রাশিয়া থেকে আমদানী করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া সফরের পর এই বিষয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হয়। একে ৪৭ এর আধুনিক সংস্করণ হিসেবে এটিকে গ্রাহ্য করা হয়। ৪০০ মিটার দূর থেকে, ১০০ শতাংশ নিখুঁতভাবে এই বন্দুক দিয়ে শত্রুদের ওপর আঘাত হানা সম্ভব। একে ২০৩ অটোমেটিক বন্দুকটির ম্যাগাজিনে একত্রে ৩০টি গুলি ধরে।

4 / 6
৪) বিধ্বংসক রাইফেল (Vidhwansak):এটি একটি মাল্টি-ক্যালিবার, অ্যান্টি-ম্যাটারিয়াল রাইফেল।  শুধুমাত্র তিরুচিরাপল্লী অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে এই রাইফেলটি তৈরি করা হয়।  ২০০৯ সাল থেকে আমাদের দেশে এই রাইফেল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিধ্বংসক হাতে চালিত, বোল্ট-অ্যাকশন রাইফেল। রাইফেলটি ১২.৭ মিমি, ১৪ মিমি, ৫ মিমি এবং ২০ মিমি ক্যালিব্রেসের আকারে কার্তুজ ফায়ার করার জন্য তৈরি, যা বিধ্বংসককে খুব নমনীয় কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যান্টি-ম্যাটারিয়াল রাইফেল হিসেবে শত্রু পক্ষের বাঙ্কার, ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে এই রাইফেল ব্যবহার করা হয়।

৪) বিধ্বংসক রাইফেল (Vidhwansak):এটি একটি মাল্টি-ক্যালিবার, অ্যান্টি-ম্যাটারিয়াল রাইফেল। শুধুমাত্র তিরুচিরাপল্লী অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে এই রাইফেলটি তৈরি করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে আমাদের দেশে এই রাইফেল ব্যবহার করা হচ্ছে। বিধ্বংসক হাতে চালিত, বোল্ট-অ্যাকশন রাইফেল। রাইফেলটি ১২.৭ মিমি, ১৪ মিমি, ৫ মিমি এবং ২০ মিমি ক্যালিব্রেসের আকারে কার্তুজ ফায়ার করার জন্য তৈরি, যা বিধ্বংসককে খুব নমনীয় কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যান্টি-ম্যাটারিয়াল রাইফেল হিসেবে শত্রু পক্ষের বাঙ্কার, ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে এই রাইফেল ব্যবহার করা হয়।

5 / 6
৫) ইনসাস রাইফেল (INSAS Rifle):ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ইনসাস (Indian Small Arms System is an assault Rifle) নামক এই রাইফেল ব্যবহার করে থাকে। ৪০০ মিটার দূরত্ব অবধি নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম ৪.১৫ কেজি ওজনের এই রাইফেল। রাইফেলটির ম্যাগাজিনে একত্রে ২০টি গুলি ধরে। যেকোনও মরশুমে ব্যবহার করার জন্য এই রাইফেল খুবই উপযোগী। যদিও এই রাইফেলটিতে বেশী উচ্চতায় জ্যামিংয়ের কিছু সমস্যা রয়েছে।

৫) ইনসাস রাইফেল (INSAS Rifle):ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ইনসাস (Indian Small Arms System is an assault Rifle) নামক এই রাইফেল ব্যবহার করে থাকে। ৪০০ মিটার দূরত্ব অবধি নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম ৪.১৫ কেজি ওজনের এই রাইফেল। রাইফেলটির ম্যাগাজিনে একত্রে ২০টি গুলি ধরে। যেকোনও মরশুমে ব্যবহার করার জন্য এই রাইফেল খুবই উপযোগী। যদিও এই রাইফেলটিতে বেশী উচ্চতায় জ্যামিংয়ের কিছু সমস্যা রয়েছে।

6 / 6
Follow Us: