
নতুন বছরের প্রথম কালাষ্টমী পালিত হচ্ছে আজ। হিন্দুশাস্ত্র মতে, এদিন প্রতিটি শিবমন্দির ও বাড়িতে শিবলিঙ্গ থাকলে , তা বিশেষভাবে পালন করা উচিত। সাধারণত, মহাদেবের রুদ্র রূপ কাল ভৈরবকে উত্সর্গ করা হয়।

এদিন কাল ভৈরবের পুজো করা হয়ে থাকে। জীবনে যে কোনও বিপদ এড়াতে, সুখী জীবনযাপন করতে ভক্তরা কালভৈববের পুজো করে থাকেন। মনে করা হয়, জীবনে উপস্তিত কষ্ট, সমস্যা দূর করার জন্য কালভৈরবের পুজো করলে হাতে নাতে সুফল পাওয়া যায়।

তাই কালাষ্টমী তিথিতে ভক্তরা ভক্তি সহকারে মহাদিদেবের পূজা করেন। জ্যোতিষশাস্ত্রে কালাষ্টমী তিথিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার বিধানও রয়েছে। এই নিয়মগুলি মেনে চললে ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি বয়ে আসে।

এছাড়াও বাস্তু দোষ দূর হয়। যদি জীবন থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর করতে চান, তাহলে কালাষ্টমী তিথিতে রীতি অনুযায়ী ভগবান শিবের পুজো করা উচিত। এছাড়াও, এদিনে, অবশ্যই ভগবান শিবের পছন্দের ৩ জিনিস বাড়িতে কিনে নিয়ে আসতে পারেন।

ডমরু: বাড়িতে বাস্তু দোষ দূর করতে চাইলে অবশ্যই কালাষ্টমী তিথিতে ডমরু বাড়িতে আনুন। শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, ডমরু বাড়িতে রাখলে ইতিবাচক শক্তি বয়ে আসে। শিবের কৃপায় বাস্তুদোষ দূর হয়। তাই কালাষ্টমীতে অবশ্যই ডমরু বাড়িতে নিয়ে আসুন। পুজোর পর বাড়িতে ডমরু বাজান।

ত্রিশূল: যদি ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে চান, তাহলে অবশ্যই কালাষ্টমী তিথিতে একটি ত্রিশূল কিনুন। আচার-অনুষ্ঠান অনুযায়ী পুজো-অর্চনার বা ঠাকুরঘরে রাখুন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে ত্রিশূল রাখলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। সেই সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধিও বৃদ্ধি পায়।

রূপোর চাঁদ: আপনি যদি রাশিতে চন্দ্রকে শক্তিশালী করতে চান তবে কালাষ্টমী তিথিতে রৌপ্য দিয়ে তৈরি একটি চাঁদ আনুন। এবার পূজা-অর্চনার স্থানে চন্দ্র অধিষ্ঠান করুন।

এরপর রূপোর চাঁদকে আলমারির ভিতর রেখে দিন। এই প্রতিকার করলে শুভকাজে সফলতা পাওয়া যায়। মা-সহ পরিবারের সকলেরই স্বাস্থ্য থাকে সুস্থ। এছাড়া অন্ন ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়।