Food Knowledge: যে সব খাদ্য পণ্যের হয় না কোনও ‘এক্সপায়ারি ডেট’; দেখুন ছবিতে
প্যাকেটজাত খাবারে একটা সময়ের পর ছত্রাক ও বিভিন্ন জীবাণু জন্মাতে শুরু করে। এই কারণে প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে এক্সপায়ারি ডেট। কিন্তু এমনও কিছু খাদ্য পণ্য রয়েছে যা কোনওদিনও খারাপ হয় না।
চাল- ভাতের জন্য বলা হয় যে চাল যত বেশি পুরানো হয়, তত ভাল হয় এবং এটি তত বেশি সুস্বাদু হয়। এ কারণে চালের কোনও এক্সপায়ারি ডেট নেই। এটাই সাদা ভাতের বিশেষত্ব। আপনি যদি বাদামী চাল ব্যবহার করেন তবে এটি ছয় মাসের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে কারণ এটি উচ্চ তেলের কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
সর্ষে- গোটা সর্ষে সহজে নষ্ট হয় না। অনেক দিন অবধি এগুলো রাখা যায়। এগুলো থেকে যে তেল বের হয় তাও নষ্ট হয় না। তাই এসব পুরনো হয়ে গেলে ফেলে দিয়ে যেন ভুল করবেন না। পুরনো হয়ে গেলেও এদের পুষ্টির শেষ নেই।
মধু- মধু যদি আসল হয়, তাহলে বছরের পর বছর রাখলেও নষ্ট হয় না। তবে অবশ্যই অরগ্যানিক মধু হতে হবে। ভেজাল মধু হলে সেটা কিছু দিনের মধ্যে খারাপ হয়ে যাবে। অনেকক্ষণ দিন রাখার পর যদি মধু জমে যেতে শুরু করে বা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন এটা মোটেও আসল মধু নয়।
আচার- জল থেকে যত দূরে রাখবেন, আচার ততই ভাল থাকবে। লেবুর আচার যত পুরনো হয় তত ভাল হয়। লেবুর পুরনো আচার পেটের ওষুধ হিসেবে ভাল কাজ করে। অতএব, আচারটি ফেলে দেবেন না কারণ এটি পুরানো হয়ে গেলেও এটি খারাপ হয়ে যায় না।
লবণ- লবণও দীর্ঘ সময়ের জন্য নষ্ট হয় না। এমনকি এতে পোকামাকড়ও ধরে না সহজে। জলের প্রভাবের কারণে এতে আর্দ্রতা আসতে পারে, তবে এটি সহজে নষ্ট হয় না। তাই আপনি দীর্ঘ সময়ের জন্য লবণ সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
চিনি- লবণের মত চিনিও আপনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন। এই খাদ্যবস্তুটিও খুব সহজে নষ্ট হয় না। তবে এর মিষ্টি স্বাদের জন্য অনেক সময় পিঁপড়ে ধরে যায়। এর ক্ষেত্রে চিনিকে সংরক্ষণ করতে এয়ার টাইপ পাত্র ব্যবহার করুন।