
শসা শুধুমাত্র হাইড্রেট করতেই নয়, পুষ্টির অভাব পূরণ করতে ও নানান রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। শসার অনেক উপকারিতার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও।

রাতে শসা খাওয়া উচিত নয়, কেন? শশার নিউট্রিশন ভ্যালু অনেকটাই বেশি, তাই গরমে এটি খাওয়া একেবারই বন্ধ করবেন না। বরং সঠিক উপায় খান।

রাতে ঘুমানোর আগে একেবারেই শসা খাবেন না। তাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। শশা খাওয়ার সময় অধিক পরিমাণে জল খাবেন না বা শশা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জল খাবেন না।

হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়তা করলেও এটি অতিরিক্ত গ্যাসের কারণও হতে পারে। শসাতে রয়েছে কিউকারবিটাসিন (Cucurbitacin)।

কুমড়ো, স্কোয়াশ এবং তরমুজ সহ অন্যান্য ফল ও সবজিতে পাওয়া যায় এই যৌগ। এরফলে শসায় মাঝে মাঝে তেঁতো স্বাদ পাওয়া যায়। যা বদহজম বা গ্যাসের কারণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শশার খোসায় অধিক পরিমাণে কিউকারবিটাসিন পাওয়া যায়। তাই এটি ভালো করে ধুয়ে, খোসা ও টিপ ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত।

খুব ভারী খাবারের সঙ্গে রাতে কখনওই শশা খাওয়া উচিত নয়। যদি পেটের সমস্যা থাকে, তাহলে এই ফল খাওয়া উচিত নয়।

শসা রয়েছে পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। হাইড্রেটেড রাখলেও, ইলেক্ট্রোলাইটিক ভারসাম্যের ক্ষতি করতে পারে শসা। গরমে অতিরিক্ত খেলে ডিহাইড্রেশন শুরু হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে বা অতিরিক্ত শসা খেলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলকানি, মুখ ফুলে যাওয়া, গলায় সংক্রমণ ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা যায়।