TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার
Oct 18, 2021 | 7:33 PM
পরিকল্পনা ছিল পাচারের। তবে শেষমেশ কোনও অজানা কারণে তা বোধহয় আর সম্ভব হয়নি। তাই বিপাকে পড়ে ডাস্টবিনে চিতাবাঘের কাটা মাথা সমেত-চামড়া ফেলে পালাল দুষ্কৃতীরা। দু'টি চিতাবাঘের ছালের সঙ্গে একাধিক চিতাবাঘের লেজও উদ্ধার হয়। সব থেকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা হল খাস কলকাতার বুক থেকে উদ্ধার হয়েছে এগুলি।
মনে করা হচ্ছে, যাদের কাছে এগুলি ছিল তাদের কাছে আরও চিতাবাঘের ছাল রয়েছে। মুচিপাড়া থানা এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হয় এই চিতাবাঘের ছাল দু'টি। একটি বিছানার চাদরের মধ্যে সযত্নে মুড়ে ফেলে রাখা ছিল তা। স্বাভাবিক ভাবে যা দেখে কারও সন্দেহ হওয়ারও কথা নয়। মনে হবে কোনও অপ্রয়োজনীয় জঞ্জাল পুরনো চাদরে মুড়ে ঘরের বাইরে দূর করে দিয়েছে কেউ।
সোমবার সকালে মুচিপাড়া থানা থেকে খবর দেওয়া হয়, মুচিপাড়ার ২৯/এ ক্রিকলেনে একটি ডাস্টবিনের পাশে চাদরে মোড়া অবস্থায় কিছু বাঘের ছাল পরে আছে। সেই খবর পেয়ে বনদফতরে আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এরপরই তাঁরা দেখেন, দু'টি চিতাবাঘের ছাল মুণ্ড-শুদ্ধ সেখানে রাখা ছিল। বনাধিকারিকরা মনে করছেন, বেশ পুরনো এই ছালগুলি।
এমনও হতে পারে, ঠিকমতো চামড়া কেটে উঠতে না পারার কারণে তা ফেলে দিতে বাধ্য হয় পাচারকারীরা। আবার এমনও হতে পারে, বিষয়টির আঁচ পেয়েছিল অন্য কেউ। এরপরই বিপদ বুঝে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে ২০২০ সালে কুঁদঘাট এলাকা থেকে চিতাবাঘের চামড়া-সহ দু'জনকে আটক করে পুলিশ। ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কনট্রোল ব্যুরো ও ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কনট্রোল সেলের যৌথ অভিযানে সেগুলি উদ্ধার হয়েছিল। সে বার জানা গিয়েছিল, ওই চিতাবাঘের চামড়া ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ডিল হয়। আটক দু'জনই টালিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
অর্থাৎ এই শহরে যে চোরাগোপ্তা চিতাবাঘের চামড়ারও অবৈধ কারবার চলে, তারও যে চক্র রয়েছে, এ কথা আগেও বোঝাই গিয়েছিল। তবে এ ভাবে ডাস্টবিনে চিতাবাঘের চামড়া পড়ে থাকার ঘটনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।