TV9 Bangla Digital | Edited By: বিহঙ্গী বিশ্বাস
Sep 28, 2021 | 11:31 PM
লতা মঙ্গেশকর। যে নাম আকুলতা জাগায় মনে, যে নাম মনে করলেই মনে বাজতে থাকে কোন এক মিঠে সুর। মনে করিয়ে দেয় শত শত সুপারহিট গান আর তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা না ভোলা কিছু স্মৃতি। মঙ্গলবার ৯২-এ পড়লেন তিনি। আর বিশেষ দিনে জেনে নিন এ দেশের নাইটঙ্গল সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য।
তাঁর বাবার নাম ছিল দীননাথ মঙ্গেশকর। প্রথম স্ত্রী নর্মদা প্রয়াত হওয়ার পর লতা-আশার মা শেবন্তিকে বিয়ে করেন দীননাথ। সাল ১৯২৭। লতাই ছিলেন বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান।
১৯২৯ সালে জন্ম হয় তাঁর। তাঁরা ছিলেন পাঁচ ভাই বোন। মীনা, আশা, উষা ও হৃদয়নাথ। বাবা দীননাথ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চা করতেন। একই সঙ্গে যুক্ত ছিলেন থিয়েটারের সঙ্গেও। বাবার থেকেই সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ তৈরি হয় তাঁর।
লতার আসল নাম ছিল হেমা। পরবর্তীতে তাঁর বাবা এক নাটকের প্রধানা চরিত্রের নামের অনুকরণে প্রথম সন্তানের নাম পরিবর্তন করেন। বাবার নাটকেও অভিনয় করেছেন লতা মঙ্গেশকর।
১৯৪২ সালে এক মরাঠি ছবিতে তিনি প্রথম প্লে-ব্যাক গান। কিন্তু সেই গান ফাইনাল কাটে বাদ পড়ে যায়। তিনি কিন্তু হার মানেননি। নিজের পরিশ্রম আর জেদকে সহায় করে প্রথম মরাঠি, পরে হিন্দি এরপর সারা ভারতের বিভিন্ন ভাষায় নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
১৯৬৩ সালে রামলীলা ময়দানে ১৯৬২-র যুদ্ধে শহীদদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত লতার গান 'অ্যায় মেরে ওয়াতন...' শুনে চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুও।
সঙ্গীত পরিচালক গুলাম হায়দারকে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের গডফাদার বা গুরু মনে করেন লতা মঙ্গেশকর। তিনিই প্রথম সুযোগ করে দিয়েছিলেন ওই কোকিলকণ্ঠীকে। খুঁজে বার করেছিলেন এমন এক প্রতিভাকে যাকে নিয়ে আজ গর্ব করে গোটা দেশ।