
মাছ ভাজতে গেলে অনেক সময় গরম তেল ছিটকে এসে হাতে লাগে। বেগুন, পটল ভাজার সময়ও এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় প্রায়শই। আর তেল পোড়া কিন্তু বেশ ভোগায়।

রান্না করতে গিয়ে চামড়া পুড়ে যাওয়া—হোমমেকারদের জীবনে প্রায়শই ঘটে। রান্না করতে গিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে কলের তলায় জল ঢালেন। আবার কেউ বরফ ঘষে নেন।

ফোস্কার উপর কিন্তু ভুলেও বরফ লাগাবেন না। পুড়ে যাওয়ার ত্বকের উপর বরফ ঘষলে ত্বকের আরও ক্ষতি। এর চেয়ে কলের ঠান্ডা জলের নীচে কিছুক্ষণ হাত রাখতে পারেন।

ঠান্ডা জলে হাত ডুবিয়ে রাখলেও ত্বকের জ্বালাপোড়া কমে। এছাড়া আর কোন উপায়ে জ্বালাপোড়া কমাবেন? রইল সহজ ৪টি ঘরোয়া উপায়ে। যে কোনও মুহূর্তে কাজে আসতে পারে।

পুড়ে যাওয়া স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। বাড়িতে যদি অ্যালোভেরা থাকে, তার পাতা ছিঁড়েও ত্বকে লাগাতে পারেন। এতে জ্বালাভাব কমবে। পাশাপাশি পোড়ার দাগও মিলিয়ে যাবে।

ভাজাভুজি রান্না করতে গিয়ে গায়ে তেল ছিটকেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমে ঠান্ডা জল ঢালুন। তারপর ত্বকের উপর সরাসরি মধু লাগিয়ে নিন। মধু জ্বালাভাব কমাবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করবে।

ক্ষতস্থানের জ্বালাভাব কমানোর জন্য ত্বকের শসার টুকরো চেপে ধরুন। শসা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকে শীতলতা এনে দেয়। শসায় প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বককে কোমল করে তোলে।

ক্ষতস্থানে নারকেল তেল লাগাতে পারেন। নারকেল তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডাইজিং উপাদান রয়েছে। নারকেল তেল ক্ষত সারাতে উপযোগী।