Energy Foods: এই ৬ খাবার রোজ খেলে কাজের মাঝে ঝিমুনি আসবে না আর
Fatigue: সারা সপ্তাহ কাজের যে পরিমাণ চাপ যায়, তার মধ্যে নিজের যত্ন খুব কম মানুষই নেন। কিন্তু দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না নিলে আপনার স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি।
সপ্তাহে একদিন ছুটি। সে দিনও ঘুম থেকে উঠতে উঠতে বেলা ১২টা বেজে যায়। অর্থাৎ, অর্ধেক দিন শেষ। নিজের পছন্দ কাজ করাই হয় না। তার উপর বাড়ির নানা রকম কাজ জমে থাকে, সেগুলো শেষ করতে হয়।
সারা সপ্তাহ কাজের যে পরিমাণ চাপ যায়, তার মধ্যে নিজের যত্ন খুব কম মানুষই নেন। কিন্তু দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না নিলে আপনার স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি।
চা-কফি খেয়ে কাজ করলেও ক্লান্তি কমানো সহজ কাজ নয়। শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে গেলে সঠিক খাবার খাওয়া দরকার। প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর খাবারই একমাত্র শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে পারে।
যে ঋতুতে যে ধরনের ফল পাওয়া যাবে, সেগুলো সবই খাবেন। মরশুমি ফলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন পাওয়া যায়। এগুলো শারীরিক কার্যসম্পাদন ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
শাকপাতা থেকে মুখ ফেরাবেন না। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। সবজির তরকারি, শাক চচ্চড়ি, স্যুপ ও স্যালাদ খেতে পারেন।
শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে চিয়া সিড খেতে পারেন। চিয়া সিডের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্ক ও হার্টের ফাংশনের জন্য অপরিহার্য। এছাড়াও এতে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা ক্লান্তি ও মানসিক চাপ কমায়।
রোজের ডায়েটে আখরোট, আমন্ড, ব্রাজিল নাট, কাজু, হেজাল নাট, পেস্তা ইত্যাদি রাখুন। বাদাম খেলে পেট ভর্তি থাকে এবং কাজ করার এনার্জিও পাওয়া যায়। পাশাপাশি দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ করে।
শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে চাইলে ব্রেকফাস্ট স্কিপ করবেন না। সকালের জলখাবারে ওটস রাখুন। লো-ফ্যাট মিল্ক বা আমন্ড মিল্কের সঙ্গে ওটস খেতে পারেন। এতে পেট ভর্তি, রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর কাজ করার এনার্জিও পাবেন।