Ghee: ঘিয়ে কোন-কোন মশলা মেশালে বাড়বে উপকারিতা ও গন্ধ? রইল টিপস
Kitchen Tips: দুধ থেকে ঘি বানানোর ঝক্কি কেউ নিতে চায় না। তাই বাজারের ঘিয়ের উপরই ভরসা রাখতে হয়। ঘি'কে স্বাস্থ্যকর বানাতে গেলে, তাতে কিছু উপাদান যোগ করতে পারেন। আয়ুর্বেদে এমন ৭টি ভেষজ উপাদানের উল্লেখ রয়েছে, যা মেশালে বাড়তে পারে ঘিয়ের গুণাগুণ।
বাড়িতে তৈরি ঘি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু দুধ থেকে মাখন-ঘি তৈরির ঝক্কি কেউ পোহাতে চায় না। তাই বাজারের ঘিয়ের উপরই ভরসা রাখতে হবে।
ঘি'কে স্বাস্থ্যকর বানাতে গেলে, তাতে কিছু উপাদান যোগ করতে পারেন। আয়ুর্বেদে এমন ৭টি ভেষজ উপাদানের উল্লেখ রয়েছে, যা মেশালে বাড়তে পারে ঘিয়ের গুণাগুণ।
ঘিয়ের মধ্যে মেশাতে পারেন মেথির দানা। মেথির দানা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজম স্বাস্থ্যকেও ভাল রাখে। ডায়াবেটিসের রোগীরা এই উপায়ে ঘি খেতে পারেন।
হলুদের মধ্যে কারকিউমিন রয়েছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। ঘিয়ের মধ্যে হলুদ মেশালে এর প্রদাহ বিরোধী গুণ দ্বিগুণ হয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
ঘিয়ের মধ্যে এক চিমটে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এতে ঘিয়ের স্বাদ ও উপকারিতা দুটোই বেড়ে যাবে। দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ঘিয়ের মধ্যে মেশাতে পারেন অশ্বগন্ধার গুঁড়ো। আয়ুর্বেদে ব্যাপকভাবে অশ্বগন্ধা ব্যবহার করা হয়। এই ভেষজ উপাদানটি মানসিক চাপ কমাতে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।
হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে এলাচ। যদিও রান্নায় সুগন্ধের কারণে সবচেয়ে বেশি এলাচ বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও ঘিয়ে এলাচ মেশাতে পারেন। ঘিয়ের গুণাগুণ ও গন্ধ বেড়ে যাবে।
হলুদের মতো গোলমরিচেও কারকিউমিন নামের যৌগ রয়েছে। তাই আপনি ঘিয়ের মধ্যে হলুদের সঙ্গে গোলমরিচও মেশাতে পারেন। এতে ঘিয়ের উপকারিতা বেড়ে যাবে।