
ভাল করে মুখ পরিষ্কার না করলে ত্বকের সমস্যা বাড়ে। সারাদিন ধরে ধুলো-বালি, ময়লা মুখের মধ্যে জমে। তাই পরিষ্কার না করলে মুখে ব্রণ, ফুসকুড়ি, র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়।

মুখ পরিষ্কার করতে বেশিরভাগ মানুষ ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ বেছে নিন। এই দুটো জিনিসই মুখে জমে থাকা ময়লা, জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। কিন্তু দুটো সম্পূর্ণ আলাদা প্রসাধনী।

ফেসওয়াশ ও ক্লিনজার মুখ পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার হলেও দুটো এক জিনিস নয়। একটু খেয়াল করলে আপনি নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন। আর যদি না পারেন, এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্য..

ফেসওয়াশ হল এক প্রকার তরল সাবান। ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে মুখে ফেনা উৎপন্ন হয়। ক্লিনজারে তা হয় না। এই ক্রিম আকারে পাওয়া যায় এবং এতে ফেনা তৈরি হয় না।

ফেসওয়াশ ও ক্লিনজার ব্যবহারের পদ্ধতিও একটু আলাদা। ফেসওয়াশ মুখে লাগিয়ে একটু ঘষেই ধুয়ে ফেলা যায়। এতেই সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু ক্লিনজারের ক্ষেত্রে তা হয় না।

মুখে হালকা জলের ঝাপ্টা দিন। এরপর মুখে ক্লিনজার লাগিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করুন। এরপর তুলোর বল দিয়ে মুখ মুছে নিন। তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখ থেকে সমস্ত ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

যেহেতু প্রসাধনী দুটি আলাদা তাই এর প্রভাবও ত্বকের উপর ভিন্ন। ফেসওয়াশ ব্যবহারে ত্বকের প্রাকৃতিক তেলও অপসারণ হয়ে যায়। এতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে।

ক্লিনজার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল বজায় রেখেই মুখ পরিষ্কার করে দেয়। সেনসিটিভ, শুষ্ক ও ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য ক্লিনজার ব্যবহার করা ভাল। এতে ত্বকের ক্ষয়ের সম্ভাবনা কম।