মানসিক চাপ, ক্লান্তি, অনিদ্রা, ডিহাইড্রেশনের জন্য চোখের নিচে কালি পড়ে। অনেক সময় বয়সের চাপও চোখের উপর দেখা যায়। সময় থাকতে যত্ন না নিলে ডার্ক সার্কেল চওড়া হতে থাকে।
ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর করতে আপনি চোখের চারপাশে আমন্ড অয়েল মালিশ করতে পারেন। ২-৩ ফোঁটা আমন্ড অয়েল নিয়ে চোখের চারপাশে ভাল করে মালিশ করুন। প্রতি রাতে এই টোটকা মানলে আপনার ডার্ক সার্কেল অনায়াসে দূর হয়ে যাবে।
চোখের চারপাশে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যালোসিন নামের যৌগ রয়েছে, যা পিগমেনটেশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি চোখের চারপাশের চামড়াকেও হাইড্রেটেড রাখে।
চোখের চারপাশের চামড়ার যত্ন নেয় শসা। শসার মধ্যে বায়োঅ্যাকটিভ ও ভিটামিন রয়েছে। অ্যালোভেরার সঙ্গে শসা একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি চোখের উপর ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর চোখ ধুয়ে ফেলুন।
টমেটোর মধ্যে লাইকোপেন ও বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে ত্বকের টিস্যু মেরামতে সাহায্য করে। টমেটোর পেস্ট বানিয়ে এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে চোখের পাশে লাগান। ২০ মিনিট পর চোখ ধুয়ে নিন।
লেবুর রসও ডার্ক সার্কেল দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর মধ্যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি পিগমেনটেশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। লেবুর রসে তুলোর বল ডুবিয়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রাখার পর চোখ ধুয়ে ফেলুন।
চোখের চারপাশের ত্বকে টক দই লাগাতে পারেন। এতেও ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। চোখের চারপাশে টক দই লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আলুর রসও ডার্ক সার্কেল দূর করতে দারুণ উপকারী। আলুর রসের মধ্যে অ্যাজেলাইক অ্যাসিড রয়েছে যা ডার্ক সার্কেল দূর করতে উপযোগী। চোখের চারপাশে আলুর রস লাগিয়ে নিন। শুকনো হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন।