মুখে বলিরেখা থাকবে না। একটাও দাগছোপ পড়বে না। ব্রণ ভুলেও দেখা দেবে না। এমন নিখুঁত ও স্বচ্ছ ত্বকের স্বপ্ন প্রায় সকলেরই থাকে। কিন্তু এই স্বপ্ন সবার পূরণ হয় না। তবে, ত্বকের সমস্যা চাইলেই এড়ানো যায়।
শুধু স্কিন কেয়ার করলেই ত্বকের হাল ফিরবে না। ত্বক থেকে ভিতর থেকে পুষ্টি প্রদান করা দরকার। স্বাস্থ্যকর খাবারই একমাত্র সেই কাজটা করে। আর পাতে যদি এই ৬ খাবার থাকে, তাহলে নিখুঁত ত্বকের স্বপ্ন পূরণ হবেই।
টমেটো মধ্যে লাইকোপেন রয়েছে, যা ত্বককে ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে, ফ্রি র্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং প্রদাহ কমায়। প্রতিদিন টমেটো খেলে ত্বককে বার্ধক্যের হাত থেকে দূরে রাখতে পারবেন।
রোজ সকালে এক মুঠো আমন্ড খান। এতে থাকা ভিটামিন ই ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। আমন্ডে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ত্বকের উপর সুরক্ষা কবচ হিসেবে কাজ করে। এই বাদাম ত্বককে হাইড্রেট রাখে।
গ্রিন টিয়ের মধ্যে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের উপর দুর্দান্ত কাজ করে। এটি ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। ত্বককে টানটান রাখে।
ত্বকে মধু মাখলে যেমন নরম ও কোমল থাকে, তেমনই মধু খেলেও ত্বক ভাল থাকে। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা ব্রণর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ওটসের স্ক্রাব সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযোগী। এছাড়া যে কোনও ত্বকের ব্যক্তিরা ওটস মাখতে পারেন। আর ওটস খেলেও এড়াতে পারবেন ত্বকের যাবতীয় সমস্যা।
ত্বকের যত্নে দই থাকবে না, এমনটা আবার হয় নাকি? টক দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড, ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। আর টক দই খেলে অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ে এবং ত্বক ভাল থাকে। তাই মুখে ২ চামচ টক দই মাখুন আর ১ বাটি টক দই খান।