TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
May 05, 2023 | 8:15 AM
৫ মে গোটা বিশ্বজুড়েই পালন করা হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী। এই পূর্ণিমা বৈশাখী পূর্ণিমা নামেই পরিচিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে এইদিনই জন্মগ্রহণ করেছিলেন বুদ্ধদেব। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি হিন্দুদের কাছেও এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিন্দুধর্ম অনুসারে শ্রীবিষ্ণুর নবম অবতার হিসেবে গণ্য করা হয় গৌতম বুদ্ধকে।
নেপালের তরাই অঞ্চলের কপিলাবস্তুর লুম্বিনী উদ্যানে এক শাক্য বংশে জন্মগ্রহণ করেন বুদ্ধদেব। বৈশাখী পূর্ণিমাতে জন্মগ্রহণ করার পাশাপাশি প্রচলিত ধর্মবিশ্বাস অনুসারে এই দিন গৌতম বুদ্ধ তাঁর সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং পরবর্তীতে এই দিনেই তিনি মহানির্বাণ লাভ করেন।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় সুস্থ থাকতে বুদ্ধদেবও বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলতেন। পরিমিত আহারেই তাঁর সায় ছিল। বরাবরই সেই পন্থা তিনি মেনে চলতেন।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের খাওয়া-দাওয়া কেমন হওয়া উচিত সেই নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। আর এই ডায়েট মেনে চললে জীবনে নিজেও সুস্থ থাকতে পারবেন।
আজকাল কারোরই হাতে বিশেষ সময় নেই। শান্তিতে খাবার সময়টুকুও থাকে না। কাজ করতে করতে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ সারেন। এতে সকলে যে মন দিয়ে খাবার খেতে পারেন তা একেবারেই নয়।
বুদ্ধদেব তাই বলতেন মেপে খাবার খেতে এবং প্রতিবেলা খাবারের মধ্যে কিছু সময় না খেয়ে থাকার চেষ্টা করুন। না খেয়ে থাকলে ক্ষতির কিছু নেই। এতে বরং হজম ক্ষমতা বাড়বে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমতে শুরু করবে।
প্রাচীন পুঁথি ঘেঁটে দেখা যায় বুদ্ধদেব রোজ লিখে রাখতেন যে তিনি কখন ব্রেকফাস্ট করছেন। ব্রেকফাস্ট আর ডিনারের মধ্যে ১২ ঘন্টার গ্যাপ থাকত। এতে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে না। সেই সঙ্গে হজমও ঠিকঠাক হয়।
খাবার সময় শান্ত থাকতে হবে। টিভি চালিয়ে, ফোনে ভিডিয়ো দেখতে দেখতে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। খাবারে নুন-চিনি কোনওটাই খেতেন না তিনি। পরিবর্তে মধু খেতেন। এছাড়াও সারাদিনে সুমিষ্ট ফল খেতেন বেশি করে। ফল, দুধ, সোয়াবিন, সবজি এসব খেয়েই সুস্থ থাকতেন তিনি।