লবঙ্গ যে শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা জানা আছে কি? সর্দি, খুসখুসে কাশি হলে মুখে লবঙ্গ রাখলে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যায়। লবঙ্গের ঝাঁঝে ঠান্ডা লাগার অস্বস্তি থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
লবঙ্গের গুণেই অনেক সময় সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে লবঙ্গের কার্যকারিতা এখানেই শেষ নয়। পুষ্টিবিদদের মতে, খাবার খাওয়ার পর লবঙ্গ চা খেয়ে দেখতে পারেন।
খাওয়ার পর এক কাপ লবঙ্গ চায়ে চুমুক দিতে পারেন। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হবে। একবার লবঙ্গ চা খাওয়া শুরু করলে আর গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার দরকার হবে না।
সাইনাস থেকে মুক্তি দেয় এই চা। লবঙ্গতে আছে ভিটামিন ই এবং কে যা ব্যাকটিরিয়াল ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচায়। জ্বর কমাতে সাহায্য করে লবঙ্গ চা। একই সঙ্গে মুখে রুচি ফেরায়। ফলে রোজের তালিকায় রাখুন এটিকে।
লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের গোলমাল ঠেকাতে লবঙ্গ সত্যিই খুব উপকারী। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে নিলেও আবার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য লবঙ্গ উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কমে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবঙ্গের জুড়ি মেলা ভার।
ত্বকে কোনও ইনফেকশন হলে সেটা কমাতেও লবঙ্গ চা সাহায্য করে কারণ এতে আছে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের নানান সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বার্ধক্যের ছাপ পড়াও রোধ করে।
তবে মনে রাখবেন লবঙ্গ চা দিনে একবার, কী দু'বার খাবেন। ভুলেও তার বেশি খাবেন না। বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত লবঙ্গ চা খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।