মটন আর সবজি একসঙ্গে? শুনেই অবাক হচ্ছেন তো! এমনকী রে রে করে তেড়ে আসতে পারেন মনট প্রেমীরা। শীতকালে বাজারে একাধিক সবজি পাওয়া যায়। রঙিন টাটকা সবজি দেখে মনে হয় কাকে ছেড়ে কাকে রাখি। আর এই সব সবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর
পালং, মূলো, পেঁয়াজকলি, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, টমেটো, গাজর, বিনস আরও কত কিছু। গাজর, বিনস, মটরশুঁটি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি এসবের সঙ্গে চিকেন স্ট্যু বানিয়ে খেতে বেশ ভাল লাগে। শীতের দিনে অনেকেই বাটি বাটি শুধু এই স্ট্যু খান
এবার মটনের সঙ্গে এক প্রেশার সবজি দিয়ে বানাতে পারবেন দারুণ ঝোল। যতই কোলেস্টেরল বাড়ুক না কেন মটনের লোভ কোনওভাবে বাঙালি ছাড়তে পারে না। রবিবারের দুপুরে গরম গরম মটনের ঝোল আর সাদা ভাতের কোনও তুলনা নেই
প্রেশার কুকারে এক চামচ সাদা তেল গরম করে তেজপাতা, একটু দারচিনি, দুটো লবঙ্গ, দুটো এলাচ আর ৬ টা গোলমরিচ দিন। এরপর সরু কুচি করে কাটা আদা, থেঁতো করা রসুন দিয়ে ভেজে নিন কিছুক্ষণ। মাঝারি মাপের ৩টি পেঁয়াজ কুচিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে তেলের মধ্যে। পেঁয়াজ ভাল করে নেড়েচেড়ে নিন
পেঁয়াজ-রসুনের কাঁচাভাব গেলে ৫০০ গ্রাম মটন মিশিয়ে দিন। একটু হলুদ-নুন দিয়ে কষতে থাকুন। আঁচ বাড়িয়ে মাংস কষে নিয়ে তিনটে খোসা ছাড়ানো গোটা ছোট আলু, মাঝারি টুকরোয় কেটে নেওয়া গাজর, টমেটো, পেঁপে, কাঁচালঙ্কা চিরে মিশিয়ে নিন
এবার সবজি গুলো ভেজে নিতে হবে। মাঝারি আঁচে মাংস-সবজি কষিয়ে নিন। এবার এক লিটার গরম জল মিশিয়ে দিতে হবে এতে। এরপর একে একে গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে সিটি দিন। প্রথমে বেশি আঁচে ১ টা সিটি দিন
এরপর আঁচ কমিয়ে আরও ৩০ মিনিট রান্না করতে হবে। ৩০ মিনিট পর কুকারের ঢাকা খুলুন। এবার এর মধ্যে একদম কচি পালং শাকের পাতা ধুয়ে এক মুঠো ফেলে দিতে হবে। একমুঠো কুচনো ধনেপাতা দিন, অর্ধেক পাতিলেবুর রস আর একটু গোলমরিচের গুঁড়ো দিন
আবারও ঢাকা দিনে মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করে নিতে হবে। ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। ৫ মিনিট পর ঢাকা খুলুন। তৈরি হয়ে গেল শীতের স্পেশ্যাল মটন স্ট্যু। গরম গরম এই স্ট্যু খেতে খুবই ভাল লাগে। রাতে একবাটি স্ট্যু হলে আর কিছুই প্রয়োজন পড়ে না