
ত্বকের একটি অতি বাজে সমস্যা হল ব্রণ। যেকোনও উৎসব অনুষ্ঠানের ঠিক আগে বিন বুলায়া মেহমান-এর মতো এসে হাজির হয়। আর সেরে ওঠার পর রেখে যায় ছাপ।

এই ব্রণর দাগ দূর করতে কার্যত নাজেহাল হতে হয়। বহু স্কিন ট্রিটমেন্ট, ক্রিম ইত্য়াদি লাগিয়েও সুরাহা হয়নি তো? এবার নজরটা ঘোরান ঘরোয়া টোটকার দিকে। নিশ্চিত ফল পাবেন। জানুন কী করবেন...

আদিযুগ থেকে রূপচর্চায় ব্য়বহৃত হয়ে আসছে মুলতানি মাটি। এই বিশেষ মাটি ত্বকের অতিক্ত তেলের পরিমাণ কমিয়ে ব্রণর ঝুঁকি কমায়। শুধু তাই-ই নয়, ব্রণর দাগও দূর করে। এক চামচ মুলতানি মাটি জলে গুলে নিয়মিত লাগান। ফল পাবেন।

এই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে শশার রসও। ব্রণর সমস্যা থাকলে শশার রসের সঙ্গে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে স্ক্রাব করুন। যদি ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে তবে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন।

ব্রণর দাগ তুলতে কার্যকরী কাঁচা হলুদ ও চন্দনকাঠের গুঁড়ো। সমপরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা ও চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার ওই পেস্টটি মুখের যে সব স্থানে ব্রণ রয়েছে সেখানে লাগান। ফলাফল নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।

ব্রণর দাগ দূর করার একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হল আপেল ও মধুর মিশ্রণ। প্রথমে আপেল সেদ্ধ করে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার তাতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ভাল করে ত্বকে প্রয়োগ করুন। দূর হবে সমস্যা।

তুলসি পাতার গুণের শেষ নেই। এর আয়ুর্বেদিক গুণের জোরে দূর হয় ব্রণর সমস্যা। গাছ থেকে তুলসী পাতা তুলে পেস্ট করে নিন। এবার মুখ পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে, পুরো মুখে লাগিয়ে নিন এই মিশ্রণটি। ১০ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেললেই হবে কামাল।

এছাড়া পেঁপে ও চালের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগালেও ব্রণর দাগ দূর হয়। এই একইভাবে কাজে লাগাতে পারেন দারুচিনির গুঁড়ো ও গোলাপ জলও। এই পেস্ট ত্বকে সংক্রমণ ও ব্রণর ঝুকি কমানোর পাশাপাশি দূর করে দাগছোপও।