মশলাপাতির পাশাপাশি সঠিক রন্ধনশৈলী মেনে চললে তবেই খাবার হয় সুস্বাদু। কিন্তু প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝে রান্নার জন্য বিশেষ সময় থাকে না। তাই চটজলদির রান্নার জন্য অনেকেই প্রেশার কুকারের উপর ভরসা রাখে।
সমস্ত উপকরণ দিয়ে প্রেশার কুকারে চাপিয়ে দিলেই কাজ শেষ। আজকাল চিকেন-মাটন সেদ্ধ করতে, এমনকী কেক বানাতেও প্রেশার কুকার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু প্রেশার কুকার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি জানেন?
প্রেশার কুকার রান্নাকে সহজ করে দেয় ঠিকই। কিন্তু প্রেশার কুকার সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করলে দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। প্রেশার কুকার ফেটে মৃত্যু অবধি হতে পারে। তাই প্রেশার কুকার ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি জেনে রাখা দরকার।
প্রেশারের কুকারের ঢাকনাতে রবারের রিং রয়েছে, এটাকে গ্যাসকেট বলে। গ্যাসে কুকার চাপানোর আগে দেখে নিন এই গ্যাসকেটটা ঠিকমতো ঢাকনায় লাগানো রয়েছে কিনা। রোজের রান্নায় প্রেশার কুকার ব্যবহার হলে গ্যাসকেট পরিষ্কার করুন। আর প্রতি বছর এই গ্যাসকেট বদলে নেবেন।
প্রেশার কুকার সম্পূর্ণ ভর্তি করবেন না। দুই-তৃতীয়াংশ খাবার দেবেন। কিংবা অর্ধেক ভর্তি করবেন। পাশাপাশি পরিমাণমতো জল দিয়ে প্রেশার কুকারের ঢাকনা আটকাবেন। খাবার বেশি থাকলে কিংবা জল কম থাকলে প্রেশার কুকার সঠিকভাবে কাজ করবে না। আর জল কম থাকলে খাবার ভাল করে সেদ্ধ হবে না।
তেল ছাড়া খাবার খাওয়ার জন্য অনেকেই প্রেশার কুকার বেছে নেন। কিন্তু প্রেশার কুকারেও অল্প তেল ব্যবহার করতে হয়। অন্যথায়, আপনার প্রেশার কুকারের ক্ষতি হবে। এতে গ্যাসকেট নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
প্রেশার কুকারে সিটি বাজার সঙ্গে সঙ্গে চামচ বা খুন্তির সাহায্যে সমস্ত বাষ্প বাইরে বের করে দিন। এই বাস্প ভিতরে থেকেই গেলেই বিপদ। তখন প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলতে পারবেন না, আটকে যাবে।
রান্না হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রেশার কুকারের ঢাকনা খুলতে যাবেন না। মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করুন। তারপর ঢাকনার উপর জল ঢেলে দিন। তারপর ঢাকনা খোলার চেষ্টা করুন। এতে প্রেশার কুকার ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।