Kochur Shag: ইলিশের মাথা দিয়েই নয়, নিরামিষ কচুর শাকও দারুণ লাগে রইল রেসিপি
Kochur Shag Rannna: রান্না শেষ করুন এক চামচ ঘি দিয়ে। গরম গাওয়া ঘি যে কোনও নিরামিষ রান্নায় পড়লে তার স্বাদ বদলে যায়। আর তাই কচু শাকের স্বাদ জমিয়ে দিতে ঘি দিন। গরম ভাতে সঙ্গে একটু গন্ধরাজ লেবু থাকলেই আর অন্য কোনও তরকারির প্রয়োজন পড়বে না
ইলিশ মাছ দিয়ে আমিষ রান্নার স্বাদ একরকম। আবার এই নারকেল, ছোলা এসব দিয়ে রান্না করলে যে কোনও খাবারের স্বাদ বদলে যায় আর গরম ভাতে তা মেখে খেতেও লাগে দুর্দান্ত। এবার থেকে কচুর শাক এভাবে বানান। এই শাকের অনেক উপকারিতা রয়েছে। মাছ মাংসের পরিবর্তে সপ্তাহে একদিন খেতে পারলে তা খুবই ভাল
তবে কচুর শাক নিরামিষ রেসিপিতে বানালে খেতে আরও ভাল লাগে। এমনকী তা নিবেদন করা হয় পুজোর ভোগেও। অনেকের বাড়িতেই গণেশ পুজো হচ্ছে। তাঁরাও ভোগে বানিয়ে দিতে পারেন কচুর শাক
কচুর শাক ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। প্রেসারে দেড় কাপ জল দিয়ে সামান্য নুন দিয়ে ১ টা সিটি দিয়েই কচুর শাক সেদ্ধ করে নিতে হবে। এবার জল ঝরানো বাটিতে কচু শাক নিয়ে জল ঝারিয়ে নিন
সাধারণত ইলিশের মাথা দিয়েই অধিকাংশ বাড়িতে কচুর শাক বানানো হয়। বর্ষাকালে বাড়িতে বাড়িতে ইলিশ রান্না হয় আর তাই এই সময়ই কচুর শাক বেশি খাওয়া হয়। ইলিশের মাথা দিয়ে এই শাক যে অপূর্ব লাগে তা সকলেই জানেন
সোনামুগডাল ২ চামচ নিয়ে শুকনো কড়াইতে ভেজে নিন। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ভেজে নিয়ে ওর মধ্যে কালোজিরে ফোড়ন দিতে হবে। এবার কুচিয়ে রাখা নারকেল আর ভেজানো ছোলা একবাটি দিয়ে ভাল করে নেড়ে চেড়ে নিতে হবে।
নারকেলের থেকে গন্ধ বেরোলে কচুর শাক, ভাজা মুগডাল আর চেরা কাঁচা লঙ্কা মিশিয়ে দিন। সব খুব ভাল করে মিশিয়ে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরেৃধনে গুঁড়ো মেশাতে হবে। স্বাদমতো নুন এতে দিয়ে দতে হবে যতক্ষণ না জল শুকিয়ে আসে
এবার জল ছেড়ে শুকনো হয়ে আসলে রাঁধুনি শুকনো খোলায় নেড়ে গুঁড়ো করে নিয়ে এক চামচ এই শাকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার এর মধ্যে ১ চামচ চিনি মিশিয়ে দিতে হবে স্বাদের জন্য। সব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে
রান্না শেষ করুন এক চামচ ঘি দিয়ে। গরম গাওয়া ঘি যে কোনও নিরামিষ রান্নায় পড়লে তার স্বাদ বদলে যায়। আর তাই কচু শাকের স্বাদ জমিয়ে দিতে ঘি দিন। গরম ভাতে সঙ্গে একটু গন্ধরাজ লেবু থাকলেই আর অন্য কোনও তরকারির প্রয়োজন পড়বে না