
ওজন কমানোর হোক বা রোগমুক্ত জীবন কাটানোর প্রসঙ্গ হোক, পাতে টক দই থাকতেই হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, রোজ টক দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।

ফিট থাকার জন্য টক দইয়ের বিকল্প নেই। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারাবছরই টক দই খাওয়া যায়। কিন্তু দিনের কোন সময়ে টক দই খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে, জানেন?

প্রোবায়োটিকের পাশাপাশি টক দইয়ের মধ্যে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লাভিনের মতো উপাদান রয়েছে। এগুলো দেহে একাধিক কাজ সম্পাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য দেহে শক্তি জোগায় টক দই। বর্ষাকালে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে টক দই। কিন্তু টক দইয়ের উপকারিতা পাওয়ার জন্য সঠিক সময়ে খাওয়া দরকার।

টক দই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টক দই পেটকে ভর্তি রাখার পাশাপাশি দেহে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। এই হরমোন ওজন ও মানসিক চাপ বাড়ায়। কিন্তু এর জন্য আপনাকে দুপুরবেলা টক দই খেতে হবে।

বেশিরভাগ বাঙালি দুপুরে শেষ পাতে টক দই খান। এভাবে টক দই খেলেও উপকারিতা মেলে। এছাড়া আপনি সকালের জলখাবারেও টক দই খেতে পারেন। ব্রেকফাস্টে টক দই খেলে শরীরে কাজ করার এনার্জি মেলে।

উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য টক দই হল মহৌষধি। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনের যে কোনও সময়ে আপনি টক দই খেতে পারেন। এতে পেটের গণ্ডগোলও সহজেই এড়ানো যায়।

ডিনারে টক দই রাখবেন না। তবে, বিকাল বা সন্ধের জলখাবারে টক দই রাখতে পারেন। রাতে টক দই খেলে মিউকাস উৎপন্ন হতে পারে। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত তাঁরা রাতে টক দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন।