যাঁরা ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নেন, তাঁরা সবসময় আয়ুর্বেদিক টিপসও মেনে চলেন। আয়ুর্বেদিকের পরামর্শ মেনে হজম স্বাস্থ্য উন্নত করা থেকে শুরু করে, ত্বক-চুলেরও যত্ন নেওয়া যায়। আর যখনই আয়ুর্বেদে ত্বকের যত্নের প্রসঙ্গ আসে, তখন অগ্রাধিকার পায় ঘি।
রান্নাঘরের অতিসাধারণ উপাদান এই ঘি। রান্নায় ব্যবহার করলে যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ে, তেমনই মুখে ঘি মাখলেও ত্বক অনেক বেশি নরম ও উজ্জ্বল হয়। তাছাড়া প্রাচীনকাল থেকে ত্বকের উপর ঘিয়ের ব্যবহার চলে আসছে।
ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে রয়েছে। উচ্চ মাত্রা ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ ঘি। তাছাড়া এই উপাদানের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই সব উপাদানগুলো ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে।
ঘি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, ঘি ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেল এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ত্বকের উপর ঘি মালিশ করলে ত্বক যেমন নরম হয়ে ওঠে, তেমনই জেল্লা বাড়তে থাকে।
ঘিয়ের মধ্যে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান রয়েছে। দিনের শেষে এক চামচ ঘি দিয়ে রূপচর্চা সেরে ফেলুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকের উপর ঘি লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। ত্বক সম্পূর্ণ ঘি শুষে নেওয়া পর্যন্ত মালিশ করবেন।
রাতে নাইট ক্রিম হিসেবে ঘি ব্যবহার করলে আপনি ত্বকের বার্ধক্যও রুখে দিতে পারবেন। চোখের কোণে সূক্ষ্মরেখা, কপালে বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে ঘি। ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি এবং ই রয়েছে, যা ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
রাতে শুধু নাইট ক্রিম হিসেবে ঘি ব্যবহার করবেন, তা নয়। চোখের চারপাশে কালি দূর করতেও আপনি ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে আঙুলে ঘি নিয়ে চোখের চারপাশে মালিশ করুন। এতে ধীরে ধীরে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
এছাড়া আপনি ফুট ক্রিম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন ঘি। রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে পায়ের পাতা ও গোড়ালিতে ভাল করে ঘি মালিশ করে নিন। এতে পা ফাটার সমস্যা এড়ানো যাবে। একইভাবে, ঠোঁটের উপর ঘি লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁট ফাটবে না।