শীতের একগুচ্ছ চুলের সমস্যার সমাধান হবে এক চামচ মধুতে, সঙ্গে বাঁচবে শ্যাম্পু-কন্ডিশনারের খরচও
Honey Hair Mask: শীতকালের খুব সাধারণ সমস্যা খুশকি। কিন্তু এই সমস্যা একবার ধরে নিলে সহজে পিছু ছাড়ে না। মধুর মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা স্ক্যাল্পে জমে থাকা তেল, ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। এতে খুশকির সমস্যা আপনার ধারে কাছে ঘেঁষে না।
শীতকালে রোজ মধু খান কিংবা মুখে মাখুন, উপকার পাবেন ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। মধু খেলে সর্দি-কাশির হাত থেকে বাঁচবেন। অন্যদিকে, মুখে মধু মাখলে ত্বক কোমল থাকবে। কিন্তু চুলে কখনও মধু মাখার কথা ভেবেছেন?
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর মধু আপনার স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুল পড়া কমায় এবং চুলের ফলিকলকে মজবুত করে। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
শীতকালের খুব সাধারণ সমস্যা খুশকি। কিন্তু এই সমস্যা একবার ধরে নিলে সহজে পিছু ছাড়ে না। মধুর মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে, যা স্ক্যাল্পে জমে থাকা তেল, ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। এতে খুশকির সমস্যা আপনার ধারে কাছে ঘেঁষে না।
শীতের অন্যতম সমস্যা হল শুষ্ক চুল। চুলের ফ্রিজিনেস দূর করতেও আপনি মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু অ্যান্টি-ফ্রিজ এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। চুলকে কোমল ও মসৃণ করে তোলে মধু।
চুলে মধু মাখলে আলাদা করে কন্ডিশনার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড ও মিনারেল রয়েছে, যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
চুলে আপনি মধুর হেয়ার মাস্ক লাগাতে পারেন। ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণ দিয়ে বানিয়ে নেওয়া যায় মধুর মাস্ক। এতে পার্লারে গিয়ে স্পা করানোর খরচও আপনি বাঁচিয়ে ফেলতে পারবেন। কীভাবে হেয়ার মাস্ক বানিয়ে ব্যবহার করবেন, রইল টিপস।
১/২ কাপ মধু ও নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ভাল করে ফেটিয়ে নিন। চাইলে মিক্সিতেও পেস্ট করে নিতে পারেন। তৈরি হেয়ার মাস্ক। এবার এই মিশ্রণটি চুল ও স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন।
১৫-২০ মিনিট হেয়ার মাস্ক মেখে অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। মধুর হেয়ার মাস্ক আপনি সপ্তাহে দু'বার ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে দারুণ উপকার পাবেন।
