সারাদিনের সমস্ত ঝক্কি ঝামেলা যায় পায়ের উপর দিয়ে। পায়ের ব্যথায় কাবু না হলেও, প্রতিদিন পায়ের যত্ন নেওয়া হয় না। কিন্তু পায়ের পাতায় সবচেয়ে বেশি ট্যান পড়ে, এমনকী নখে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পায়ে। তাই পার্লারে না যেতে পারলেও বাড়িতে সেরে নিতে পারে পেডিকিওর।
পার্লারে গিয়ে পেডিকিওর করালে বেশি আরাম মেলে। সেই একই আরাম বাড়িতে পাওয়া একটু কঠিন। কিন্তু অসম্ভব নয়। পায়ের ম্যাসাজ মিস গেলেও বাকি কোনও স্টেপ বাদ যাবে না পায়ের যত্ন। বাড়িতে কীভাবে পেডিকিওর করবেন, রইল টিপস।
পায়ের নখে নেলপলিশ রয়েছে? পেডিকিওর শুরু করার আগে নেল রিমুভার দিয়ে নেলপলিশ তুলে ফেলুন। নেলপলিশ পরে কখনওই পেডিকিওর করবেন না। এরপর শুরু করুন পেডিকিওর করা। হাতের কাছে নিয়ে বসুন সমস্ত সরঞ্জাম নেল কাটার, স্ক্রাবিং প্যাড ইত্যাদি।
এক গামলা গরম জল নিন। এতে বাথ সল্ট মিশিয়ে দিন। বাথ সল্ট না থাকলে হিমালয়না পিঙ্ক সল্টও ব্যবহার করতে পারেন। এবার এতে পা দুটো ডুবিয়ে রাখুন। এতে পায়ের মধ্যে জমে থাকা মৃত কোষ দূর হয়ে যায় এবং পায়ের ত্বক নরম হয়ে ওঠে।
পায়ের ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে একটি ফুট স্ক্রাব বানিয়ে নিন। কফির সঙ্গে মধু মিশিয়ে স্ক্রাব বানাতে পারেন। এটা পায়ে এবং পায়ের পাতায় ভাল করে স্ক্রাব করুন। এতে সমস্ত ময়লা ও মৃত কোষ দূর হয়ে যাবে। এরপর পায়ের পাতা, গোড়ালি স্ক্রাবিং প্যাড দিয়ে ঘষে নিন। তারপর নরম কাপড় দিয়ে পা মুছে নিন।
যদি আপনার পায়ে ট্যান পড়ে, তাহলে এই সময় ট্যানিং প্যাক বানিয়ে পায়ের উপর লাগাতে পারেন। বেসন, টক দই ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ট্যানিং প্যাক বানিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে পায়ের পাতায় পড়া জুতোর ছাপও দূর হয়ে যাবে।
এবার পায়ের নখ কেটে নিন। নখের কোণগুলি ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। নখের কোণে ময়লা জমে সংক্রমণ হতে পারে। এরপর নখের উপর কয়েক ফোঁটা কিউটিকল তেল দিয়ে ভাল করে মালিশ করুন। কিউটিকল তেল না থাকলে নারকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনি সম্পূর্ণ পায়েও ব্যবহার করতে পারেন।
এরপর একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ভাল ভাল করে মুছে নিন। শেষে পায়ে লাগিয়ে নিন পছন্দের ফুট ক্রিম। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার পর পায়ে বৃত্তাকার গতিতে মালিশ করুন। ক্রিম বেশি হলে মুছেও নিতে পারেন। এরপর পরে নিন পছন্দের নেলপলিশ।