পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকী। দেবীপক্ষ আসার আগে ঘর ঝেড়ে এখন সব সাফসুতরো করার কাজ চলছে। সকলেই চান পুজোর আগে বাড়ি পরিষ্কার করতে। আলমারি থেকে শাড়ি বের করে রোদ খাওয়ানো হয়ে গিয়েছে। শীতের জিনিসও সব রোদে দেওয়া হয়েছে
আসলে এই চারদিনের পুজোকে ঘিরে মানুষের মনে অনেক রকম স্বপ্ন থাকে। প্রচুর মানুষ আছেন যাংদের আয়ের একমাত্র সময় হল এই পুজো। পুজোতে যে উপার্জন হয় তাই দিয়েই সারা মাস কেটে যায়
কুটুম-আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার সময় এই পুজো। সারা বছর কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে থাকা মানুষও এই সময় ঘরে ফেরেন। কটা দিন সকলেই চান আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া-হই হুল্লোড়ের মধ্যে কাটাতে
পুজোর প্যান্ডেল হপিং, রাত জেগে ঠাকুর দেখা, নতুন পায়ে ফোস্টা এসবের আলাদাই একটা মজা থাকে। পছন্দের রেস্তোরাঁতে খাওয়ার জন্য অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। আবার বাড়িতেও ভালমন্দ রান্না হয়
পুজোর দিনে বাড়িতে জমাটি খানাপিনা মাস্ট। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার অনেক রকম পদই রান্না হয় এই ক দিনে। আর তাই একদিন বানিয়েই ফেলুন বাদশাহি মুর্গ। এই মাংস খেতে লাগে তোফা। নামের মধ্যেই একটা আভিজাত্য রয়েছে, দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন
পেঁয়াজ কুচি করে কেটে রাখুন। এ বার আলাদা আলাদা করে রসুন, আদা, ধনে পাতা, পোস্ত, চারমগজ, কাজু বাদাম, কিশমিশ বেটে রাখুন। সর্ষের তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভেজে বেরেস্তা বানিয়ে আলাদা করে তুলে রাখুন
মাংস ভাল করে ধুয়ে পাতিলেবুর রস, পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো আর দু’চামচ তেল দিয়ে মেখে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। কড়াইয়ে তেল গরম করে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, গোটা জিরে আর চিনি ফোড়ন দিন।
এর মধ্যে ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। একটা টমেটো চার টুকরো করে মেশান। আগে থেকে বেটে রাখা চারমগজ, কাজুবাদাম, পোস্ত, কিশমিশের মিশ্রণ ঢেলে দিন। মাংস সেদ্ধ হলে উপর থেকে পেঁয়াজের বেরেস্তা, সামান্য মিঠা আতর, গরম মশলা গুঁড়ো আর একটু ঘি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন