ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম তুলতে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল ওয়াক্সিং। ওয়াক্সিংয়ের মাধ্যমে ত্বকের ক্ষুদ্রতম লোমও উঠে আসে। একটু ব্যথা হলেও দীর্ঘদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা যায়। একই বিষয় ঘটে বিকিনি ওয়াক্সের ক্ষেত্রেও।
হাতে-পায়ে লোম তোলার থেকেও বেশি ব্যথা লাগে বিকিনি ওয়াক্সের ক্ষেত্রে। কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাও জরুরি। তাই বিকিনি ওয়াক্স করার সময় কয়েকটি বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।
দেহে অন্যান্য অংশের তুলনায় গোপনাঙ্গ সংবেদনশীল হয়। তাই যোনি এলাকার লোম তুলতে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। সাধারণ ওয়াক্সের বদলে ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্সে বিকিনি ওয়াক্সিং করতে হয়।
বিকিনি ওয়াক্স সবসময় পেশাদার দিয়ে করানো ভাল। ভাল মানের স্যালোঁ ছাড়া বিকিনি ওয়াক্স করাবেন না। পাশাপাশি যিনি বিকিনি ওয়াক্স করে দিচ্ছে, তাঁর হাত ও ওয়াক্সিং স্টিক পরিষ্কার হওয়া চাই। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
বিকিনি লাইন ত্বক সংবেদনশীল হয়। তাই লোম খুব ছোট হলে বিকিনি ওয়াক্স করাতে যাবেন না। ১/৪ ইঞ্চি লোম হলে তবেই বিকিনি ওয়াক্স করান। আর যদি লোম খুব বেশি হয় তাহলে কাঁচি বা ট্রিমারের সাহায্যে ছোট করে কেটে নিন।
ওয়াক্সিং করার আগে গোপনাঙ্গ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। চাইলে এক্সফোলিয়েটও করতে পারেন। এতে ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা মৃত কোষ দূর হয়ে যায়। তবে, গোপনাঙ্গ সংবেদনশীল হওয়ায় হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
বিকিনি ওয়াক্স করার আগে ইষদুষ্ণ জলে স্নান করুন। হালকা গরম জল ব্যবহার করলে এটি জমে থাকা ঘাম, ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যায়। এরপর ওয়াক্সিং করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। পাশাপাশি সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
বিকিনি ওয়াক্স করার আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না। এছাড়া বিকিনি ওয়াক্স করার পর ঢিলে পোশাক পরুন। বিকিনি ওয়াক্স করার পর ২৪ ঘণ্টা যৌন মিলনে লিপ্ত হবে না। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।