বাঙালির হেঁশেলে ঘি থাকবে না, তা হয় না। রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্যায় কাজে আসে ঘি। বিশেষত, আয়ুর্বেদে ঘিয়ের বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। আয়ুর্বেদে ত্বকের যত্নে সবসময় ঘি'কে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়।
পুজোর আগে ব্রণর সমস্যা দূর করতে চান? এখন থেকেই মুখে ঘি মাখা শুরু করুন। আদ্যিকালের এই ঘরোয়া টোটকায় আপনার ব্রণর সমস্যা দূর হবে। পাশাপাশি আপনি পেয়ে যাবেন মসৃণ ও নিখুঁত ত্বক।
অতিরিক্ত পরিমাণে তেল-ঘি অর্থাৎ চর্বিযুক্ত খাবার খেলে ত্বকের উপর ব্রণর সমস্যা দেখা দেয়। তাই মাত্রাতিরিক্ত ঘি না খেয়ে, অল্প মুখে মেখে নিন। ঘিয়ের মধ্যে যে হিলিং উপাদান রয়েছে, তা ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে।
মূলত দেশি ঘিয়ের মধ্যে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। তাই যখন ত্বকে আপনি ঘি মাখেন, এটি ব্রণর ব্যথা, ফোলাভাব ও প্রদাহ কমিয়ে দেয়।
ব্রণর সমস্যায় না ভুগলেও আপনি ঘি'কে স্কিন কেয়ারের অংশ করে তুলতে পারেন। দেশি ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে রয়েছে। এগুলো ত্বকের উপর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে ব্রণ দ্রুত সেরে ওঠে এবং ত্বক ভাল থাকে।
প্রতিদিনের রূপচর্চায় আপনি ঘি'কে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের উপর থেকে মেকআপ, ময়লা পরিষ্কার করে দিতে পারে ঘি। পাশাপাশি রোমকূপকে পরিষ্কার করে দেয়। এতে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকলে একাধিক সমস্যা কমে যায়। দেশি ঘিয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে, যা ত্বককে গভীরে গিয়ে ময়েশ্চারাইজ করে। ঘি মাখলে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণের ভয় নেই। এতেও ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ব্রণ কমলে দাগ সহজে দূর হয় না। এক্ষেত্রেও আপনি ঘিয়ের সাহায্য নিতে পারেন। দেশি ঘিয়ের হিলিং উপাদান ব্রণর দাগও দূর করে। তাছাড়া ঘিয়ের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকে স্বাস্থ্য ফেরাতে সাহায্য করে।