কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তাই প্রথমেই ডায়েটের উপর জোর দিচ্ছেন সকলে। কিন্তু নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া আজকাল কারওই হয় না। তবে, রোজের পাতে এমন খাবার রাখার চেষ্টা করেন যা স্বাস্থ্যকর। যেমন দুপুরে খাবারের প্রথম পাতে তেতো মাস্ট।
বসন্তের আবহে এখন নিম বেগুন ভাজা বা নিম পাতা ভাতে থাকছে। আর যে তেতো খাবার প্রায় সারা বছর বাঙালির পাতে থাকে তা হল উচ্ছে বা করলার তৈরি পদ। করলা ভাজা কিংবা উচ্ছে চচ্চড়ি দিয়েই ভাত পরিবেশন করা হয়।
করলা বা উচ্ছে স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এই আনাজের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী এই সবজি।
স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিশেষজ্ঞেরা করলার রস পান করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তেতো স্বাদের জন্য করলার জুস খাওয়া কষ্টকর। তার চেয়ে বাঙালি কায়েদায় গরম ভাতে অল্প করলা ভাজা অনেক বেশি সুস্বাদু।
সাধারণত সর্ষের তেলে মুচমুচে করে করলা ভাজা হয়। তবে, বেশি তেল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। কম তেলে করলা ভাজলে কীভাবে তা মুচমুচে হবে, তার সহজ রেসিপি শেয়ার করেছেন শেফ কুণাল কাপুর। আপনিও ট্রাই করতে পারেন সেটি।
প্রথমে করলা দু'টুকরো করে করলার ভিতরের নির্যাস অর্থাৎ দানাগুলো ফেলে দেবেন। এরপর করলা গোলগোল করে পাতলা স্লাইস করে কেটে নিন। এরপর নুন ও লেবুর রস মাখিয়ে করলার টুকরোগুলো ৩০ মিনিট রেখে দিন।
৩০ মিনিট পর করলা টুকরো গুলো জলে ডুবিয়ে ধুয়ে নিন। এতে করলার তিক্ততা কমে যাবে। এবার করলার টুকরোগুলো ম্যারিনেট করুন নুন, বিটনুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, আমচুর পাউডার, কর্ন ফ্লাওয়ার ও বেসন দিয়ে।
এবার ফ্রাইং প্যানে এক চামচ তেল গরম করুন। এতে করলা টুকরোগুলো ভাল করে ভেজে নিন। এতে করলা মুচমুচে ভাজা হবে। ভাতের সঙ্গে করলা ভাজা তো খান। শেফ কুণাল কাপুরের এই রেসিপি ট্রাই করলে আপনি মুখরোচক খাবারেও সসের সঙ্গে খেতে পারবেন এই ক্রিসপি করলা ভাজা।