সরস্বতী পুজোর দিন সকাল সকাল অঞ্জলি সেরে ফল প্রসাদ খেতে না খেতেই দুপুরে খিচুড়ির আয়োজন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার একটু অন্যরকম খিচুড়ি দিয়ে সারতে পারেন আপনার দুপুরের ভোজ।
খিচুড়ির আবার বিশেষ কিছু ধরন রয়েছে। কেউ পছন্দ করেন একেবারে পাতলা খিচুড়ি, কারও আবার মাখা-মাখা খিচুড়ি না হলে চলে না। তবে আরও এক ধরনের খিচুড়ি হয়, তা জানেন কি? তা হল ভুনা খিচুড়ি।
দারুণ সুস্বাদু এই পদ। একবার খেলে ভুলে যাবেন অন্য সব খিচুড়ির স্বাদ। এমন কিছু সময় সাপেক্ষও নয়। খুব সহজেই হয়ে যায়। কীভাবে বানাবেন ভাবছেন তো? আপনার জন্য রইল সহজ রেসিপি।
কী কী লাগবে দেখুন- ১ কাপ ভাজা মুগের ডাল, চাল, গোটা গরম মশলা, গোটা জিরে, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, সাদা তেল, ঘি, কাজুবাদাম, কিশমিশ, স্বাদমতো নুন ও চিনি, অর্ধেক আদা।
প্রথমেই চাল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার কড়াই হালকা গরম করে নিয়ে তাতে মুগ ডালটা ভেজে নিন। এবার ওই কড়াইতেই তেল ও ঘি একসঙ্গে গরম করে নিন। এবার তাতে গোটা গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা ও জিরে ফোড়ন দিন।
এবার ফোড়ন ভালভাবে নেড়েচেড়ে নিয়ে তাতে জল ঝরিয়ে রাখা চাল ও ভাজা মুগ ডাল দিয়ে দিন। এবাত তার মধ্যে একে-একে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
তারপরে কাজুবাদাম, কিশমিশ দিয়ে আরও একটু ভাজুন। এবার এর মধ্যে পাঁচ কাপ মতো জল দিন। জল ফুটতে শুরু করলে কয়েকটি কাঁচালঙ্কা চিরে দিন। এবার কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা বন্ধ করে দিন। ঢাকনা খুলে স্বাদমতো চিনি ও নুন যোগ করুন। এবার তা আরও ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রেখে দিন।
এবার কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে গরম মশলার গুঁড়ো ও ঘি ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবং আঁচ নিভিয়ে দিন। ব্যাস তৈরি আপনার ভুনা খিচুড়ি। সরস্বতী পুজোর দিন দুপুরে পরিবারের সকলের সঙ্গে জমিয়ে খান।