
এই খাবারটিকে নিয়ে যতই হেলাফেলা করা হোক না কেন শরীর ঠিক রাখতে মুড়ির জুড়ি মেলা ভার। মুড়ির মধ্যে ক্যালোরি কম, পেট ঠান্ডা রাখে আর অল্প খেলে পেটও ভরে যায়।

এখনও রাস্তায় যত রকম স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সস্তা হল মুড়ি। বিশেষত আমাদের রাজ্যে। মশলা মুড়ি, জল মুড়ি, দুধ মুড়ি কত ভাবেই না মুড়ি খাওয়া যায়।

এমনকী মুড়ি-বাতাসা প্রসাদ হিসেবেও দেওয়া হয়। লক্ষ্মী পুজোয় মুড়ি দিয়ে তৈরি মোয়া থাকে ভোগ প্রসাদে। জল মুড়ি,দুধ মুড়ি তো খেয়েছেন তবে মুড়ি-বাতাসার এমন রেসিপি আগে খাননি।

বৃহস্পতিবার অনেকেই নিরামিষ খান। বিকেলের দিকে ভাল কিছু খেতে ইচ্ছে করলে বা ব্রেকফাস্টে বানিয়ে খেতে পারেন। প্রথমে একটি বড় বাটিতে দু কাপ জল দিয়ে ওর মধ্যে চার কাপ মুড়ি মিশিয়ে দিন।

একটা ছোট বাটিতে এক চামচ আটা আর হাফ জল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। ফ্রাইং প্যানে এক কাপ ঘি দিয়ে ওর মধ্যে কাজু আর আমন্ড দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এবার তা তুলে রেখে আরও একটু ঘি দিয়ে ঝল ঝরিয়ে মুড়ি দিন।

মুড়ি খুব ভাল করে ভেজে নিয়ে ২০০ গ্রাম ঘন করা দুধ মিশিয়ে দিন। দুধ মিশলে আটা দিয়ে দিতে হবে। সব খুব ভাল করে মিশিয়ে লো ফ্লেমে ফোটাতে থাকুন। ঘন হয়ে এলে ওর মধ্যে এক কাপ গুড়ের বাতাসা মিশিয়ে দিতে হবে।

এর মধ্যে চারটে ছোট এলাচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিতে হবে। সব ভাল করে মিশিয়ে ভেজে রাখা বাদাম ওর মধ্যে দিয়ে দিন। এবার তা ঘন ক্ষীরের মত হয়ে এলে গ্যাস অফ করে দিন।

ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন। গরম খেতে খুব একটা ভাল লাগে না। ব্রেকফাস্টেও এই মুড়ির পায়েস খেতে বেশ লাগে। কয়েকটা ছোট এলাচ গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন। ভাল করে মেশাতে থাকুন। এরপর ভেজে রাখা কাজুবাদাম মিশিয়ে দিন। এবার তা সার্ভ করুন ঠান্ডা করে।