
রোজ বিকেল হলেই মনটা ভাজাভুজি খেতে চায়। এদিকে কোনও তেলেভাজাই আমাদের শরীরের জন্য ভাল নয়। কারণ এর মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট বেশি পরিমাণে থাকে। ক্যালোরিও অনেক বেশি থাকে। প্যাকেটবন্দি সুস্বাদু যে কোনও খাবারই শরীরে জন্য একরকম বিষ

চায়ের সঙ্গে বিস্কুট আর চানাচুর বাঙালির খুবই পছন্দের খাবার। সঙ্গে শিঙাড়া, জিলিপি থাকলে তো কথাই নেই যদি পকেটে টান থাকে তাহলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এমন চানাচুর। এতে খিদে মিটবে আর তা শরীরের জন্যেও বেশ ভাল। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন।

একবাটি ওটস নিয়ে আগে শুকনো কড়াতে নেড়ে ভাল করে ড্রাই রোস্ট করে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না একটা রং ধরছে ততক্ষণ পর্যন্ত নাড়াচাড়া করে নিন। ওটস ভাজতে ভাজতে চিড়ে ভাজার মত মুচমুচে হবে

কড়াইতে ২ চামচ সরষের তেল দিয়ে দুটো শুকনো লঙ্কা আর একবাটি বাদাম মিশিয়ে ভাল করে ভেজে নিতে হবে। মুচমুচে করে বাদাম ভাজা হলে এক চামচ গোটা জিরে, কারিপাতা, শুকনো নারকেল কুচি, একটু হিং দিন। অল্প আঁচেই পুরোটা হবে

এবার এর মধ্যে কাজুবাদাম, কিশমিশ, আমন্ড কুচি দিয়ে ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। এবার এতে ভাজা ছোলা মিশিয়ে নিন। যত এমন উপকরণ দেবেন ততই হেলদি হবে। এরপরসামান্য লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, নুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো মেশান

এবার ভেজে রাখা ওটস মিশিয়ে দিতে হবে এই ভাজার মধ্যে। স্বাদমতো আমচুর পাউডার আর অল্প চাটমশলা ছড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। ওটসের এই মিশ্রণ বিকেলের চায়ের সঙ্গে খেতে খুবই ভাল লাগে।

ওটস এইভাবে বানিয়ে নিলো খেতেও খুব ভাল হয়। চানাচুরের মধ্যে তেল থাকে, অনেকের তাই চানাচুর খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে তা এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। আর ওটসের এই মিক্সচার বানিয়ে বাড়িতে রেখে দিন, প্রয়োজন মত ব্যযবহার করুন। অফিসেও নিয়ে যেতে পারেন

চানাচুর খেতে বাচ্চারাও ভালবাসে তবে যেহেতু চানাচুল ঝাল, তেল বেশি থাকে তাই বাচ্চাদের তা দেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে এমন চানাচুর বাচ্চাদের দিলে তারাও চেটে পুটে খাবে। আর শরীর খারাপ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না।