
চিকেন হল সর্বঘটে কাঁঠালি কলা। বাড়িতে কোনও সবজি নেই, বাজার থেকে চিকেন আনো আর বানিয়ে খাও। অতিথি আসবে? বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান আছে বাড়িতে? এখানেও ভরসা সেই চিকেন। কষা করে চিকেন বানিয়ে নিলে আর কিছুই লাগে না

যে কোনও খাবারে চিকেন যোগ করলেই যেন তার স্বাদ পাঁচগুণ বেড়ে যায়। চিকেন চাউমিন, চিকেন রাইস, চিকেন মোমো, কেল, স্যান্ডউইচ, বার্গার- মোটকথা চিকেনের কোনও শেষ নেই। যেভাবে খুশি যখন খুশি চিকেন খাওয়া যায়

চিকেনের মধ্যে প্রোটিনের ভাগ বেশি থাকে। আর চিকেনে থাকে ফাইবার, ফলে চিকেন খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ছোট থেকে বড় সকলেই চিকেন হজম করতে পারে। তাই আজ রইল দারুণ একটি চিকেন রেসিপি। একবার বানিয়ে খেলে বার বার খেতে চাইবেন

কড়াইতে দু চামচ সাদা তেল নিয়ে ওর মধ্যো গোটা গরম মশলা দিয়ে দিতে হবে। এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি, ৮ টা গোলমরিচ দিন। একটু জায়ফল গুঁডো, জয়িত্রী, তেজপাতা দিতে কিন্তু ভুলবেন না। এই গোটা গরম মশলা নেড়ে চেড়ে ওতে চারটে মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুচি করে দিয়ে দিন

পেঁয়াজ ভাল করে ভেজে নিয়ে ওতে বাদামী রং ধরলে একবাটি টমেটো কুচি দিয়ে অল্প নুন দিন। টমেটো নরম না হওয়া অবধি ভাজতে হবে। টমেটো নরম হলে আদা-রসুন বাটা ২ চামচ মিশিয়ে নিয়ে মশলা ভেজে নিতে হবে। এতে আদা রসুনের কাঁচা গন্ধ চলে যাবে

এবার সব গুঁড়ো মশলা এক চামচ করে দিন। জিরে, ধনে, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে কষাতে থাকুন। যতক্ষণ পর্যন্ত না জল ছাড়ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কষাতে হবে। কষানোর সময় অল্প করে মশলা ধোওয়া জল দেবেন। যত ভাল কষানো হবে মাংস খেতে ততই ভাল হবে।

মশলা কষে তেল ছাড়লে চিকেন মিশিয়ে দিন। খুব ভাল করে এবার চিকেন ভেজে নিন, এবার এর মধ্যে হাফ চামচ গোলমরিচ, গরম মশলা গুঁড়ো আর কয়েকটা কাঁচালঙ্কা দিয়ে নেড়ে ঢাকা দিয়ে কষিয়ে নিন। খুব ভাল করে ফেটিয়ে রাখা টকদই হাফ কাপ মিশিয়ে দিন

দই থেকে তেল ছাড়লে খুব মিহি করে কুচিয়ে রাখা পালং শাক এক কাপ মিশিয়ে দিতে হবে। ভাবছেন এভাবে শাক মেশালে কেমন লাগবে? একবার বানিয়ে দেখুন, এই ভাবে বানিয়ে নেওয়া চিকেন খুবই ভাল লাগে খেতে। শাক মিলে মিশে গেলে খাদ্যগুণও বাড়বে। এবার পরিমাণ মত জল, স্বাদমতো নুন, ক্যাপসিকাম টুকরো, ধনেপাতা ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। ১৫ মিনিটেই তৈরি হয়ে যাবে দারুণ স্বাদের এই চিকেন।