Momo Side Effects: মোমো হইতে সাবধান! বেশি খেলেই পড়বেন বিপদে
Monsoon Health Tips: মোমোর সোস, স্টাফিং, সস কোনওটাই নিরাপদ নয়। আর তাই খাওয়ার আগে অন্তত একবার ভাবুন, তারপর খান। এই বর্ষায় এড়িয়ে চলাই ভাল।
পাড়ার মোড়ে মোড়ে এখন রোল-চাউমিনের সঙ্গে রয়েছে মোমোর দোকান। লোকে যেমন পাল্লা দিয়ে বিরিয়ানি খাচ্ছে ঠিক তেমনই মোমো খাচ্ছে। বৃষ্টি বা ঠান্ডার আবহাওয়াতে গরম গরম মোমোতে কামড় দেওয়ার মজাটাই আলাদা।
বাঙালির কাছে যেমন পাহাড় প্রিয় ঠিক তেমনই মোমো প্রিয়। আগে শুধুমাত্র পাহাড়ি অঞ্চলেই মোমো পাওয়া যেত। আর এখন শহরের সর্বত্র মোমো পাওয়া যায়।
স্বাদে যে সব মোমো তুখোড় এরকমটা একেবারেই নয়। তবে রোজ রোজ প্রেমে পড়ে মোমো খাওয়া ঠিক নয়। অনেকেই মনে করেন মোমোর থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার আর কিছু নেই। যদিও প্যান ফ্রায়েড মোমো কিন্তু আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়।
শহরবাসীর এ হেন মোমো প্রেম দেখে চোখ কপালে উঠেছে চিকিৎসকদের একাংশের। তেল থাকে না, স্টিম করে বানানো হয় বলে অনেকেই চপের বদলে মোমো বেছে নিয়েছেন ইভিনিং স্ন্যাক্সে।
আটা নয়, মোমো তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। রোজ রোজ এই ময়দা খাওয়া একেবারেই ঠুক নয়। কারণ এর মধ্যে গ্লুকোজের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। যে কারণে যাদের সুগার থাকে তাদের চিনি, চাল আর ময়দা খেতে মানা করা হয়।
রোজ ময়দা খেলে সুগার বাড়বেই। সেই সঙ্গে ওজনও বাড়বে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আসবে। আর তাই রোজ মোমো খাওয়ার পরিবর্তে চপ দিয়ে মুড়ি মেখে খান, তা অনেক ভাল।
মোমোর সঙ্গে দেওয়া স্যুপ অনেকেরই ভীষণ পছন্দের। বাটি বাটি চেয়ে খান। সব সময় এই স্যুপ যে ভাল জলে তৈরি হয় এমন নয়। আর তাই এই স্যুপ খেলে পেট খারাপের সম্ভাবনা থেকে যায়। বর্ষায় তো একেবারেই নয়।
মোমোর যে স্টাফিং তা সব সময় ফ্রেশ থাকে না। অনেকেই ফ্রিজে রেখে তা পরেরদিন ব্যবহার করেন। সব সময় যে কষিয়ে রান্না করা হয় এমনটাও নয়, তাই রোজ মোমো খাওয়ার আগে একবার অন্তত ভাবুন।