Rice Water: চাল ধোয়া জল না ফেলে কাজে লাগান রূপচর্চায়, রইল ৬টি টিপস
Beauty Tips: রূপচর্চার জগতে জনপ্রিয় হয়েছে কে-বিউটি। আর সেখানে অন্যতম উপাদান হল চাল ভেজানো জল ও ভাতের ফ্যান। এই উপাদান দিয়ে ত্বক ও চুলের যত্ন নিচ্ছেন যুবতীরা। ত্বক ও চুলের সমস্যা কমছে এই প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে। পুজোর শেষে আপনিও ট্রাই করতে পারেন।
রূপচর্চার জগতে জনপ্রিয় হয়েছে কে-বিউটি। আর সেখানে অন্যতম উপাদান হল চাল ভেজানো জল ও ভাতের ফ্যান। এই উপাদান দিয়ে ত্বক ও চুলের যত্ন নিচ্ছেন যুবতীরা। পাচ্ছেন ফলও।
গেরস্থ বাড়িতে চাল ভেজানো জল বা ভাতের ফ্যান সহজেই পাওয়া যায়। কোরিয়ান প্রসাধনী না ব্যবহার করলেও চাল ভেজানো জল ও ভাতের ফ্যানই আপনার রূপচর্চার অংশ হয়ে উঠতে পারে।
চাল ভেজানো জল দিয়ে আপনি হেয়ার স্পা সেরে ফেলতে পারেন। এই উপাদান চুলের উপর প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। শ্যাম্পু করার পর চাল ভেজানো জল দিয়ে চুলে ঢেলে দিন। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তুলবে।
ত্বকের যত্নেও চাল ভেজানো জল ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের উপর প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। রোমকূপ পরিষ্কার করতে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক আভা এনে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে চাল ভেজানো জল।
চাল ভেজানো জল সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও উপযোগী। তুলোর বলে চাল ভেজানো জল নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। চাল ভেজানো জল ব্যবহারের আগে অবশ্যই ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
চাল ভেজানো জল ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। চাল ভেজানো জল দিয়ে আপনি এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাবও বানাতে পারেন। এছাড়া রোজের ব্যবহৃত ক্লিনজারের সঙ্গে চাল ভেজানো জল মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়।
চাল ভেজানো জল ব্রণ-প্রবণ ত্বকের জন্যও উপযুক্ত। চাল ভেজানো জলের মধ্যে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং তেল নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের তেলতেলে ভাব কমিয়ে দেয় চাল ভেজানো জল।
রোদে ঝলসে যাওয়া ত্বকে আরাম পেতে মুখে চাল ভেজানো জল স্প্রে করুন। চাল ভেজানো জলের প্রাকৃতিক নিরাময় বৈশিষ্ট্য ত্বকের জ্বালাভাব কমিয়ে দেয়। পাশাপাশি ত্বকে সতেজতা প্রদান করে।