শীত মানেই পিকনিকের মরশুম। শীত পড়লে বাড়ে পার্টি, পিকনিকের ধুম। আমাদের রাজ্যে শীতের স্থায়িত্ব বড়ই কম। এবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে মাঝপথে বাধা পেয়েছে শীত
আর সেই সঙ্গে বেড়েছে দূষণ। যে কারণে সর্দি-কাশি পিছু ছাড়তে চাইছে না। একই সঙ্গে শরীর খারাপও বেশি হচ্ছে। এই সময় স্কুলে থাকে ছুটি, পড়াশোনার চাপ খানিক কম থাকে। আর তাই বাচ্চারাও মেতে ওঠে আউটিং-এ
এখনকার বাচ্চারাও নিজেদের মত করে মজা করতে জানে। আর তাই বাচ্চাদের আবদারে পিকনিকে বানিয়ে দিন ডিমের কারি। মাংসের পরিবর্তে ডিম বাচ্চাদের খেতে ভাল লাগবে আর মজা করে খাবে। খাওয়ার কোনও অসুবিধেও হবে না
যতগুলো লাগবে ততগুলো ডিম আগে সেদ্ধ করে নিন। এবার মাঝবরাবর দু টিকরো করে ডিম কেটে নিন। মিক্সিতে একমুঠো ধনেপাতা, ২ টো কাঁচালঙ্কা, ২ চামচ টকদই একসঙ্গে বেটে নিতে হবে
কড়াইতে সরষের তেল গরম করে রান্না শুরু করুন। এতে স্বাদ অনেক ভাল আসবে। রান্নার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে এর মধ্যে একটা ছোট এলাচ, একটা বড় এলাচ আর একটুকরো দারচিনি দিতে হবে। একটা সুন্দর গন্ধ উঠলে মিশিয়ে দিন দুটো পেঁয়াজ কুচি
পেঁয়াজ ভাল করে ভেজে নিয়ে এতে আদা-রসুন বাটা মিশিয়ে নিন। কাঁচা গন্ধ না যাওয়া অবধি ভেজে নিন। এবার ঝনেপাতার মিশ্রণ দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে. মশলা ধোওয়া জল একটু মিশিয়ে দিতে ভুলবেন না। এবার এতে হাফ চামচ হলুদ, কাশ্মীরি লঙ্কা, ধনে, জিরে, গরম মশলা গুঁড়ো মিশিয়ে নিন
সব মশলা মিশিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে। মশলা কষে তেল ছাড়লে ফেটিয়ে নেওয়া টকদই মিশিয়ে দিন। আবারও কষাতে থাকুন। মিডিয়াম আঁচে ৩-৪ মিনিট কষিয়ে নিন এবার এক আঁটি পালং শাক ভাল করে ধুয়ে কুচিয়ে দিয়ে দিন ডিমের মধ্যে। স্বাদমতো নুন দিন। ঢাকা দিয়ে ৭ মিনিট রান্না করুন
আরও ৫ মিনিট মশলার সঙ্গে কষিয়ে সেদ্ধ করে রাখা ডিম দিন। ঢাকা দিয়ে কম আঁচে গ্রেভি ফুটিয়ে নিতে হবে। যাতে ডিমের মধ্যে মশলা ঢোকে। আবারও ঢাকা দিয়ে কষিয় নিন. নামানোর আগে উপর থেকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। গরম ভাতে এই স্বাস্থ্যকর ডিম কারি বাচ্চাদের খেতে খুবই ভাল লাগবে