কমলালেবুর মরশুম এসে গিয়েছে। সারা বছর অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করতে হয় শীতকালের। টক-মিষ্টি স্বাদের কমলালেবু আর শীতের দুপুর যেন বাঙালির কাছে আবেগ। এই আবেগের উপকারিতাও রয়েছে অনেক।
কমলালেবু ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং শীতভর সুস্থ থাকতে গেলে কমলালেবু খেতেই হবে। কিন্তু কমলালেবুর কোয়ার সঙ্গে এই ৬ ধরনের খাবার খেলে চলবে না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আজকাল কমলালেবু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট তৈরি করা হয়। কিন্তু কমলালেবুর সঙ্গে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়া উচিত নয়। কমলালেবুর রসে থাকা অ্যাসিডিক উপাদান দুধের প্রোটিনের সঙ্গে মিশে গিয়ে শারীরিক অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। পেট ফুলে যাওয়া, বদহজম দেখা দিতে পারে।
টমেটো ও কমলালেবু দুটোই স্বাস্থ্যকর ফল এবং দুটোই ভিটামিন সি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর। কিন্তু এই দুই অ্যাসিডিক খাবার একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এতে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা হজমের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।
সকালবেলা কমলালেবুর সঙ্গে কলা খান? ভুল করবেন। এই দুই ফল একসঙ্গে খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে সব ব্যক্তি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের কলা ও কমলালেবু একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
ব্রেকফাস্টে ওটস, টক দই আর কমলালেবু নিয়ে বসেন? এতে ব্রেকফাস্টের বাটি পুষ্টিতে ভরপুর দেখতে লাগলেও, তা হয় না। বরং, এই কম্বো আপনাকে বদহজম ও গ্যাস-অম্বলের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
কমলালেবু দিয়ে চিকেন ও মাছ পদ রান্না করেন? এই এক্সপেরিমেন্ট আপনাকে পেটের আলসার উপহার দিতে পারে। মশলাদার খাবারের সঙ্গে কখনওই কমলালেবুর রস মেশাবেন না। এতে পেটে আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কার্বোনেট ড্রিংক্স বা যে সব পানীয়তে সোডা ও শর্করা রয়েছে, তার সঙ্গে কমলালেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন না। একইভাবে, অ্যালকোহলের সঙ্গে কমলালেবুর রস মিশিয়ে ককটেল খাবেন না। এতে গ্যাস-অম্বল হবেই। অ্যালকোহলের আগে বা পরেও কমলালেবু খাবেন না।