কোরিয়ান মহিলাদের ত্বক দেখে মুগ্ধ সকলে। নেই কোনও দাগছোপ, ব্রণ-ফুসকুড়িও। স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ ত্বক। বার্ধক্য ঘেঁষে না তাঁদের ত্বকের গায়ে। তাই বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের কদর এত বেশি।
কোরিয়ান স্কিনকেয়ারে প্রাকৃতিক উপাদানের উপর জোর দেওয়া হয়। ফেসওয়াশ, নাইট ক্রিম পাশাপাশি ফেসপ্যাকও কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের অংশ। এছাড়া জোর দেওয়া হয় শিট মাস্কের উপর। বিশ্বজুড়ে শিট মাস্কের ব্যবহারে কোরিয়ার হাত ধরেই এসেছে।
কোরিয়ান মহিলারা তাঁদের দৈনন্দিন রূপচর্চার অংশ করে তুলেছে শিট মাস্ককে। কেউ কেউ শিট মাস্ক প্রতিদিন ব্যবহার করেন, আবার কেউ সপ্তাহে একদিন। কিন্তু শিট মাস্ক ব্যবহারের ফলে কী উপকার পাওয়া যায়, জানেন?
সমস্যা কমাতে চাইলে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। ত্বকে অতিরিক্ত হাইড্রেশন প্রদান করে শিট মাস্ক। পাশাপাশি শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করে। এতে ত্বক কোমল ও নরম হয়ে ওঠে। এছাড়া ত্বকের বার্ধক্যকেও দূরে রাখে।
শিট মাস্ক তৈরিতে হ্যাইলিউরনিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি-এর মতো বিভিন্ন সিরাম ও নিউট্রিয়েন্টস ব্যবহার করা হয়। তাই শিট মাস্ক ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বককে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
শিট মাস্কের মধ্যে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি আপনার ত্বককে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। এতে বলিরেখা, দাগছোপের মতো সমস্যা আপনার ধারে কাছে ঘেঁষে না। এতে ত্বকের জৌলুস বজায় থাকে।
দূষণ, ধুলোবালি ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দেয়। ত্বকের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে শিট মাস্ক। ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে শিট মাস্ক। অর্থাৎ ত্বক ডিটক্সিফাই করার কাজ করে শিট মাস্ক।
ব্রণর সমস্যা কমিয়ে দিতে সক্ষম শিট মাস্ক। শিট মাস্ক ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রদাহ কমে এবং এটি তেল নিঃসরণ ও ব্রেকআউটকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতেই ব্রণর সমস্যা কমে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের শিট মাস্ক পাওয়া যায়। তবে, ত্বকের ধরন অনুযায়ী শিট মাস্ক বেছে নেওয়া দরকার।