বাঙালির পাকশালে এত কিছু রান্না হয় তা আর অন্য কোনও প্রদেশে হয় বলে মনে হয় না। বিভিন্ন বাটা, ভর্তা, বড়া, মুড়িঘন্ট এসব সাবেকি রান্না এখন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। ঝামেলার ভয়ে অনেকে তা বানাতেও চান না।
অফিসের তাড়ায় কোনও রকমে রোজ এক তরকারি ভাত খেয়ে অফিস যান বেশিরভাগ। আবার যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁরা তালিকা থেকে ভাত বাদ রাখেন।
দিদিমা-ঠাকুমারা শুধুই যে মাছের মাথা দিয়ে মুড়িঘন্ট বানাতেন তা নয় নিরামিষ রেসিপিতেও বানাতেন মুড়ি ঘন্ট।
থোড়ের তরকারি মূলত নিরামিষ ভাবেই বেশি রান্না করা হয়। নারকেল ছোলা দিয়েই অধিকাংশ সময় তা বানানো হয়। এছাড়াও গোবিন্দ ভোগ চাল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন মুড়িঘন্ট।
থোড়গুলো আলুভাজার মত করে কেটে নিয়ে নিন-হলুদ জলে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর প্রেসার কুকারে এই থোড় দিয়ে ভাল করে সিদ্ধ করে নিন। দুটো সিটি পড়লেই নামিয়ে নিন।
একটি পাত্রে অল্প চাল দিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে প্রথমে থোড়গুলো ভেজে তুলে রাখুন।
এবার কড়াইতে সামান্য ঘি দিয়ে শুকনোলঙ্কা, তেজপাতা, জিরে বাটা আর জল ঝরানো গোবিন্দ ভোগ চাল দিন।
সুগন্ধ বেরোলে থোড়, হলুদ, স্বাদমতো নুন-চিনি দিন। অল্প অল্প জলের ছিটে দিয়ে কষতে থাকুন। কষা হলে আবারও অল্প জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার চাল সিদ্ধ হলে গরম মশলা আর ঘি ছড়িয়ে দিন। প্রয়োজন হলে চিনি ছড়িয়ে দিন। এবার গরম ভাতে পরিবেশন করুন মুড়ি ঘন্ট।