
সরস্বতী পুজোর পরদিনই পড়ে শীতলষষ্ঠী পুজোর তিথি। পঞ্জিকা মতে বসন্ত পঞ্চমী কেটে গেলেই শুরু হয় শীতলাষষ্ঠী পুজোর সময়কাল। পরিবার ও সন্তানের মঙ্গলকামনায় হয় এই পুজো

চৈত্র মাসে অনেক জায়গাতেই হয় দেশপুজো বা শীতলা পুজো। গ্রামের দিকে এই পুজোর রীতি এখনও প্রচলিত রয়েছে। এছাড়াও চৈত্র মাসে হয় শীতলার পুজো। শীতলা পুজোর সময় এই শীতল ষষ্ঠী পালন করা হয়

শীতলষষ্ঠী পুজোর শুভ মুহূর্ত- এই পুজোর শুভ মুহূর্ত রয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬ টা ১৬ মিনিট থেকে সকাল ৭ টা ২৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে সময়কাল

গোটা সেদ্ধর রীতি- বসন্ত পঞ্চমীর রাতে এই গোটা সেদ্ধ বানানোর রীতি প্রচলিত। সব রকম সবজি গোটা গোটা দেওয়া হয়। আলু, রাঙা আলু, বেগুন, মুগ কলাই, শিম, কড়াইশুঁটি, শীষ পালং। রান্না শেষে দিতে হয় আদা বাটা, শুকনো মৌরী গুঁড়ো, আর লঙ্কা। সঙ্গে সরষের কাঁচা তেল নিতে হয়

পরের দিন সকালে পুজোর পর খাওয়া হয় এই গোটা সেদ্ধ। যেহেতু ষষ্ঠী তাই সব সবজি ৬ টা করে দিতে হবে। সন্তানের কল্যাণ কামনায় মায়েরা তা করে থাকেন। এক একটা অঞ্চলে গোটা সেদ্ধর এক একরকম নিয়ম থাকে

গোটা কাঁচালঙ্কা দিলে স্বাদ ভাল হয়। ৫০০-৬০০ গ্রাম কাঁচা মুগ ডাল আগেই ভিজিয়ে রাখুন। এই সেদ্ধতে কোনও রকম মশলা লাগে না। এই গোটাসেদ্ধ শরীরের জন্য খুব ভাল। খেতে যেমন সুস্বাদু হয় তেমনই শরীরের জন্য ভাল

তবে যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁরাও খেতে পারেন এই গোটা শস্য। এর খাদ্যগুণও প্রচুর। সরস্বতী পুজোর আগের দিন রাত জাগা ঠিক মতো খাওয়া হয় না। পুজোর দিন কখন খাওয়া হয় তার ঠিক থাকে না। খিচুড়ি, পোলাও ফ্রায়েডরাইস এসব খাওয়ার পর পরের দিন গোটা সেদ্ধ খেলে খুবই ভাল

কড়াইতে জল দিয়ে ডাল, বেগুন, রাঙাআলু, শিম, মটরশুঁটি, পালং শাক, কাঁচালঙ্কা গিন গোটা গোটা। স্বাদমতো নুন, চিনি দিয়ে চেখে দেখে নিন। এতে খেতে লাগবে খুবই সুন্দর। গোটা সেদ্ধ কিন্তু সব সময় কড়াইতে বানাতে হয়। সরষের তেল দিয়েই কিন্তু এই রান্না হবে। উপর থেকে ছড়িয়ে দেবেন