
সঠিক খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে সঠিক সময়ে খাওয়া দুটোই ওজন কমানোর জন্য জরুরি। অথচ, বেশিরভাগ মানুষ শুধু খাদ্যতালিকা নিয়ে সচেতন থাকেন। খাওয়ার সময়ের কোনও ঠিক ঠিকানা থাকে না।

সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতোই জরুরি। তবে, দুটো ভারী খাবারের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধান বজায় রাখা দরকার। নাহলে দুর্বল হয়ে যেতে পারে মেটাবলিজম।

শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মের জন্য আপনাকে ক্রমাগত জ্বালানি জোগাতে হবে। আর সেটা খাবার থেকেই মেলে। তবে, প্রতিটা মানুষের জীবনধারা আলাদা। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় সবারই মেনে চলা দরকার।

দুটো খাবারের মাঝে ৬ ঘণ্টার বেশি ব্যবধান থাকলে এবং ১৮ ঘণ্টা খালি পেটে, উপোস করে থাকলে বিপাক ক্রিয়া ঠিকমতো কাজ করে না। বাড়ে গ্লুকোজ লেভেল, স্থুলতা ও ক্যানসারের ঝুঁকি।

দিনের প্রথম খাবারটা প্রোটিনে ভরপুর ও পুষ্টিকর হওয়া দরকার। তবে, কখন ব্রেকফাস্ট করছেন, সেটার দিকেও নজর দিতে হবে। ডিনার ও ব্রেকফাস্টের মাঝে আপনাকে ১২ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে।

সাধারণত খাবার হজম হতে ৪ ঘণ্টা সময় নেয়। তাই ব্রেকফাস্ট করার ৪ ঘণ্টা পর লাঞ্চ করুন। তবে, লাঞ্চ ও ব্রেকফাস্টের মাঝে খুব বেশি ব্যবধান রাখবেন না, যাতে অ্যাসিডিটি হয়ে যায়।

একইভাবে, লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝেও আপনাকে ৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা উচিত। এর চেয়ে বেশি বা কম ব্যবধান রাখলে এটি আপনার পরদিন ব্রেকফাস্টের সময়ের উপর প্রভাব ফেলবে, যা ক্ষতিকর হতে পারে।

এই নিয়মে খাবার খেলে ওজন কমানো সহজ হবে। অনেক সময়ই ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার মাঝে স্ন্যাকসও খান। বাদাম, ফল স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়।