মুখের দুর্গন্ধ খুবই বাজে একটি বিষয়। অনেক সময়ই এমন হয় যে সকালে ভাল করে ব্রাশ করার পরও এড়ানো যায় না সেই গন্ধ। এমনকী অন্য কেউ পাশে বসতেও বিব্রত বোধ করে।
মৌখিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও যে খুব জরুরি তা অনেকেই মনে রাখেন না। মুখের গন্ধ এড়াতে না পারলে সকলের সঙ্গে ঠিক করে মেশাও যায় না। বিশেষত সঙ্গীর সঙ্গে তো ঘনিষ্ঠ হওয়াও যায় না। যে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানেও মুখরক্ষায় সমস্যা হয়ে যায়।
রোজ নিয়ম করে ব্রাশ করতেই হবে। দিনের মধ্যে অন্তত দুবার ব্রাশ না করলে কোনও দুর্গন্ধ দূর হয় না। মূলত খাওয়ার পর ব্রাশ করতেই হবে। আজ থেকে রাতে ব্রাশ করা অভ্যাস করুন।
ফ্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। সেই সঙ্গে ক্যাভিটিও রোধ করা যায়। এছাড়াও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
সারাদিনে অন্তত একবার ফ্লস করুন। দাঁতের ফাঁকে অনেক রকম খাবার তো লেগেই থাকে। খাবারের অবশিষ্টাংশ মুখের মধ্যে পচে গিয়ে দুর্গন্ধ তৈরি করে। আর তাই দিনে একবার ফ্লস করলে দাঁতের মধ্যে আটকে থাকা সব ময়লা বেরিয়ে আসে। সেই সঙ্গে দূর হয় দুর্গন্ধও।
একটা টুথব্রাশ ৬ মাস টানা ব্যবহার করবেন এরকমটা ভাববেন না। মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রতি তিন মাস অন্তর ব্রাশ পরিবর্তন করুন।
মুখের পাশাপাশি নিয়মিত ভাবে জিভও পরিষ্কার রাখতে হবে। তাই ব্রাশ করার সময় জিভ ছোলা দিয়ে যাবতীয় ময়লা পরিষ্কার করে নিন। আর নিজের যেমন ব্রাশ আলাদা রয়েছে তেমনই জিভ ছোলাও আলাদা রাখতে হবে।
সারাদিনে জল বেশি করে খেতে হবে। কোনও কিছু খাবার খাওয়ার পর মুখে জল নিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অ্যালকোহল, মিষ্টি জাতীয় পানীয় যতটা এড়িয়ে চলতে পারবেন ততই ভাল। প্রয়োজনে ধূমপানও এড়িয়ে চলুন।