
অতিমারির সময়ে কোভিড সংক্রমণের আতঙ্ক এতে আরও বেশি করে দেখা যায়। ফলে মানসিক চাপও বাড়ে তাতে। তবে এই উদ্বেগকে এড়িয়ে চলাই ভাল। এই বিষয়ে ড ডিকসা ভাবসার কিছু আয়ুর্বেদিক প্রতিকারের কথা জানিয়েছেন...

কাফা জাতীয় উত্তেজক যৌগ এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ ঠান্ডা জল, দই, ফল, আইসক্রিম, চিনিযুক্ত খাবার ও ডিপ ফ্রাই খাবার ও ভারী খাবারের সঙ্গে মেশানো হয়।

দিনে ঘুমাবেন না। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী এটি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

রাতে দেরি করে ঘুমাতে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। তাতে ঘুমের ঘাটতি দেখা যায়। রাতে ভাল করে ঘুম হলে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে কার্যকর হয়।

ঠান্ডা জলে স্নান করবেন না। ঠান্ডা জল পানও করবেন না।

ভাস্ত্রিকা, অনুলোমা ভিলোমা ও ভ্রমরী প্রাণায়াম প্রতিদিন দুবার করে মেনে চলুন। সকালে ও রাতে।

সমস্ত সতর্কতা মেনে চলা সত্ত্বেও ঠান্ডা লেগে যায়, তাহলে একটি কাড়া বানান ঘরেই। ৭-৮টি তুলসী পাতা, এক টুকরো আদা, কয়েক কোয়া রসুন, ১ চা চামচ জোয়ান, ১ চা চামচ মেথি বীজ, ৪-৫টি কালো গোলমরিচ একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। ১ লিটার জলে এই কাড়াটি বানান, জল ফুটে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত ফুটিয়ে নিতে হবে। সকালে উঠেই এই পানীয়টি পান করুন।

হজমশক্তি বাড়াতে উষ্ণ জল পান তরুন। মধু গলার ব্যথা উপশম করতে সাহায্য় করে।

আদা, হলুদ, লেবুর চা পান করুন। স্টিম ইনহেলেশনের জন্য ফুটন্ত জলে কিছু জোয়ান, ইউক্যালিপটাস তেল বা হলুদ যোগ করতে পারেন।

হলুদ দিয়ে গরম দুধ পান করুন। গলা ব্যথা হলে লিকোরিস কাড়া বা হালকা গরম জলে হলুদ ও রক সল্ট দিয়ে গার্গেল করুন।