
মহিলাদের মধ্যে যেমন বেড়েছে স্তন ক্য়ানসার তেমনই পুরুষদের মধ্যে বেড়েছে প্রস্টেট ক্যানসার। প্রস্টেট গ্রন্থিতে বীর্য উৎপন্ন হয়। যখন এই গ্রন্থিতে কোনও রকম সমস্যা হয় তখনই সচেতন হয়ে যাওয়া উচিত। প্রস্টেট ক্যানসারে মূত্রাশয় ও মূত্রনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর সঙ্গে প্রস্রাবের রঙে পরিবর্তন আসে। যা হল প্রোস্টেট ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।

প্রোস্টেটে টিউমার হলে মূত্রনালীতে চাপ দেয়। এর ফলে মূত্রত্যাগেও সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে মূত্রাশয় পুরোপুরি খালি হতে পারে না। প্রল্রাবের পরিমাণ কমে যায় সেই সঙ্গে রাতে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।

প্রোস্টেট ক্যানসার হলে প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালাপোড়া ভাব এসব থেকে যায়। অনেক সময় প্রোস্টেট ক্যানসার থেকে ইনফেকশনও অনেক বেশি হয়। আর তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অবশ্য ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণও এগুলো।

প্রোস্টেট ক্যানসার হলে কোমরেও খুব ব্যথা হয়। আর সেই ব্যথা সহজে যায় না। সব সময় থেকে যায়। সেই সঙ্গে বীর্যপাতের সময়েও ব্যথা হতে পারে।

বয়স ৫০ পেরোলে এই প্রোস্টেট ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়। বয়স ৫০ পেরলে এই অসুখের শঙ্কা বাড়ে। পিএসএ টেস্ট বা প্রস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন টেস্ট করে এই রোগ নির্ণয় করা হয়।

সাধারণত রক্তে পিএসএ-র মাত্রা ১ থেকে ৪-এর মধ্যেই থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় তা ৪ এর বেশি। তবে ৪ এর বেশি মানেই ক্যানসার নয়। তখন ডিজিটাল রেক্টাল টেস্টের পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই টেস্টে যদি দেখা যায় যে কোনও রকম স্ফীতি রয়েছে তখন বায়োপসি করানো হয়।

এই ক্যানসার যত দ্রুত ধরা পড়ে ততই কিন্তু ভাল। হঠাৎ মূত্রের গতি কমে গেলে, জ্বালাপোড়া ভাব থাকলে সতর্ক হন। সঙ্গে তলপেটে আর মেরুদণ্ডে ব্যথা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।

কম বয়সীদের ক্ষেত্রে সঙ্গমের সময় ব্যথা, বীর্যের সঙ্গে রক্তপাত, তলপেটে ব্যথা এবং প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হলেও কিন্তু সাবধান। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়াও প্রস্রাবের রং এর দিকেও খেয়াল রাখুন।