জলপাইগুড়ি: বুধবার সন্ধে। হঠাৎই তার আগমন। গ্রামের কুকুরটা ডেকেই চলেছে। চমকে উঠলেন গ্রামবাসীরা। একী! অজগর! নিমেশে হুলুস্থুল শুরু হল গ্রামে। অজগরকে বন্দি করতে খবর গেল বন দফতরে। কিন্তু অনেক চেষ্টাতেও সাড়া মিলল না। সাহায্য। অগত্যা গ্রামবাসীরা নিজেরাই দড়ি দিয়ে বাধলেন অজগরকে। চাঞ্চল্য ছড়াল ধুপগুড়িতে।
জানা গিয়েছে, এদিন খেত থেকে ফের উদ্ধার হয় বিশালাকার একটি অজগর সাপ। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ধুপগুড়ি ব্লকের ঝুমুর এলাকার পাইকার পাড়া গ্রামে রাস্তা পেরিয়ে একটি অজগর সাপ কে ধান ক্ষেতে যেতে দেখেন এক ব্যক্তি। চোখের সামনে অজগর সাপ দেখে চোখ কপালে উঠে যায় তাঁর। আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন তিনি। ছুটে আসে আসে আশেপাশের গ্রামবাসীরা।
ধীরে ধীরে অজগর দেখতে ভিড় জমান গ্রামের একাধিক মানুষ। খবর দেওয়া হয় বন দফতর এবং ধুপগুড়ি থানার পুলিশকে। অভিযোগ, বনদফতর কে একাধিকবার ফোন করলেও তারা রাত পর্যন্ত সেই অজগর সাপটিকে উদ্ধারের জন্য আসেনি।
এদিকে সাপটি দীর্ঘক্ষণ মাঠে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এরপর কোনও উপায় না পেয়ে গ্রামবাসীরা নিজেদের সাপটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে বস্তাবন্দি করে অজগরটিকে। তার পর খবর দেওয়া হয় পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার অর্গানাইজেশনের সদস্যদের।
এদিকে সাপটি দীর্ঘক্ষণ মাঠে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এরপর কোনও উপায় না পেয়ে গ্রামবাসীরা নিজেদের সাপটিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে বস্তাবন্দি করে অজগরটিকে। তার পর খবর দেওয়া হয় পরিবেশ প্রেমী সংস্থা ডুয়ার্স নেচার অ্যান্ড স্নেক লাভার অর্গানাইজেশনের সদস্যদের। এরপর তারা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তারপর আতঙ্ক মুক্ত হয় গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ফলে অজগরটির শরীরের কিছু অংশে আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে একাধিকবার চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে অজগর। কিন্তু এখন লোকালয় থেকে অজগর উদ্ধার হওয়ায় আতঙ্ক গ্রাস করছে বাসিন্দাদের।