এখন জীবনযাত্রার কারণে কম-বেশি সবাই কোলেস্টেরল নিয়ে সচেতন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ে কম বয়স থেকেই সচেতন থাকা জরুরি। এখন ২০-এর দশকেই মানুষের বেড়ে যাচ্ছে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা।
গবেষণা বলছে, যাঁদের ২০-এর দশকে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, ৫০-এর দশকে গিয়ে তাঁরা হৃদরোগে শিকার হন। তাঁদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মধ্য বয়সে গিয়ে। তাই আগে থেকেই সচেতন থাকতে হবে।
এত কম বয়সে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। বরং এই বয়সে কেন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে সেই দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। কম বয়সে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পিছনে ঠিক বেশ কয়েকটি লাইফস্টাইল জনিত কারণ দায়ী।
এখন মানুষের মধ্যে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি প্রবণতা বেশি। এগরোল, চাউমিন, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে বার্গার, পিজ্জাতেই মজেছে নতুন প্রজন্ম। আর এখান থেকেই বাড়ছে রোগের ঝুঁকি। এই সব খাবারে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
এই সব খাবার থেকে ওজনও বেড়ে যায়। ওবেসিটি হচ্ছে এমন একটি সমস্যা যেখান থেকে আরও শারীরিক সমস্যা বাসা বাঁধে। ওজন নিয়ে সচেতন হলেও ওজন কমাতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, সেদিকেও খেয়াল রাখা দরকার।
নতুন প্রজন্মের বেশির ভাগ সময়টাই কাটে ল্যাপটপ, মোবাইলের স্ক্রিনে। দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে বা শুয়ে থাকার অভ্যাস ডেকে আনছে মারণ রোগ। তাছাড়া ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অলস হয়ে পড়ছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে কোলেস্টেরলের ঝুঁকি। সুস্থ থাকতে চাইলে যোগব্যায়াম করা জরুরি।
নিয়মিত মদ্যপান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে। এর সঙ্গে ধূমপান আরও এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই সুস্থ থাকতে গেলে এই বদঅভ্যাসগুলো জীবন থেকে বাদ দিতেই হবে।