
অগ্নিসাগর কলা বা লাল কলা কম জনপ্রিয় এবং সাধারণ কলার চেয়ে বেশি মিষ্টি স্বাদের। যাঁরা এই কলার স্বাদ নিয়েছেন, তাদের মতে, নিয়মিত কলা এবং রাস্পবেরির মিষ্টির সংমিশ্রণের মত স্বাদযুক্ত।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ প্রকারের কলা রয়েছে, তবে হলুদ হল সবচেয়ে সাধারণ ধরণের কলা খাওয়া। লাল কলার স্বাদ বেরির মতো মিষ্টি, পটাসিয়াম বেশি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি।

লাল কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, থিয়ামিন, ভিটামিন বি-৬ এবং ফোলেট থাকে। বি ৬ ভিটামিন এবং ভিটামিন ডি রয়েছে, যার ফলে লোহিত রক্তকণিকা ও প্রোটিনের বিপাকক্রিয়ায় উন্নতি করতে সাহায্য করে।

কিডনিতে পাথর দূর করতে এই ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এটি শরীরে ক্যালসিয়াম ধরে রাখতেও সাহায্য করে, যা মজবুত হাড়ের শক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তের গুণমান বৃদ্ধি করে। হিমোগ্লোবিনের সংখ্যাও বৃদ্ধি করে। রক্তকে পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় নিকোটিন প্রত্যাহার করার প্রয়াসে সাহায্য করে এই লাল কলা। ধূমপানের ইচ্ছে দমন করার জন্য পারফেক্ট ফল। মানসিক সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।

লাল কলা শুধু স্বাস্থ্যের নয়, এটি আপনার ত্বকের জন্যও ভালো। ওটস, ম্যাশ করা লাল কলা এবং কয়েক ফোঁটা মধু ব্যবহার করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটি আপনার মুখে লাগান, এটি শুকানোর জন্য কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন এবং তারপরে ধুয়ে ফেলুন।

লাল কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তাই দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি থাকে। একটি লাল কলায় ৯০ থেকে ১০০ ভাগ ক্যালোরি থাকে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা প্রচুর পরিমাণে খাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে আপনার ওজন-হ্রাসের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।

ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নের জন্যও এই লাল কলার গুণ রয়েছে। চুলকে ময়েশ্চারাইজড করতে ও খুশি, চুল পড়া, শুষ্ক চুলের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে নারকেল তেল, তিল বা বাদামের তেল ও লাল কলা স্ম্যাশ একটি হয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে গোটা চুলে ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। বাউন্সি ও চকচকে চুলের জন্য লাল কলার গুণের শেষ নেই।