শেখ শাহজাহান (ফাইল ছবি)
নারী নির্যাতন, জমি দখল, ভেড়ি দখল-সহ একাধিক লুঠ নির্যাতনের অভিযোগে গর্জে উঠেছে সেখানকার নারীসমাজ। যেখানে নারী নির্যাতনের গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ, সেই এলাকারই একজন মহিলা সাংসদ নুসরত জাহানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সন্দেশখালির মাটিতে।
নুসরতের টিকিট না পাওয়াটা রাজনৈতিক মহলের বৃহদাংশের কাছেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। আর তারই প্রমাণ মিলল তৃণমূলের জনগর্জন কর্মসূচিতে। সামনে এল নতুন প্রার্থীর নাম। তিনি হাজির নরুল ইসলাম।
সন্দেশখালি বর্তমানে তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি এলাকা। সেখানে নুসরতকে ছেঁটে এমন একজনকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল, যাঁকে দিয়ে অন্ততপক্ষে ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়। কিন্তু এই হাজি নরুল ইসলাম সম্পর্কে কী বলছে সেখানকার মানুষ?
একই প্রশ্ন করা হল, বছর ষাটেকের এক বৃদ্ধের কাছে। তিনিও খানিকটা চুপ। তারপর বললেন, "শুনেছি প্রার্থী ভালো। এখন কেমন চলবে না চলবে, তা বলতে পারছি না। বেশি কথা বলা যাবে না।"
তবে এই প্রশ্নের স্বতঃস্ফূর্ত উত্তর দিলেন মাঝবয়সী এক ব্যক্তি। তিনি নামটা শুনেই বললেন, "ভালো প্রার্থী। আমরা আগেও দেখেছি ওঁকে। নুসরত জাহান আমাদের জন্য কোনও কাজই করেননি। তাঁকে সরানোই দরকার ছিল।"
এবার নতুন প্রার্থী নিয়ে কী বলছেন সন্দেশখালির মহিলারা? এক মহিলা ব্যবসায়ী বললেন, "আমি চিনি না ওঁকে। পুরনো প্রার্থী হলেও আমরা চিনি না। আসলে আমরাই এখানে নতুন এসেছি। নুসরত জাহানের পরিবর্তে এসেছেন, এটাকেই স্বাগত জানাব।"
আরেক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, "ভালো প্রার্থী। আগেও ছিলেন। মনে হচ্ছে ভালোই হবে। নুসরত জাহান কোনওদিনই এলাকায় আসেননি। কাজও হয়নি। ওঁ এলে মনে হচ্ছে কাজ ভালো হবে।"
আরেক মহিলা প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেললেন। তিনি বললেন, "আমাদের এ প্রশ্ন কেন করছেন? কী বলি বলুনতো। ভালই হবে।"
আরেক দোকানি বলেন, "আমার কিছু বলার নেই। এখন মানুষ কতটা সাপোর্ট করবে, কে জানে। এখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি বলেই, মুসলিম প্রার্থী। আর মুসলিম প্রার্থী হলেও মানুষ বেশি ভোট দেবে, তেমনটা কিন্তু নয়।"
এতক্ষণ মোটামুটি আবছা আবছা বলেছিলেন। এবার মুখ খুললেন এক প্রবীণ। বললেন, "দলটা চোরের দল। আমি আর কী বলব। চোরেরা হাজিকে সমর্থন করছে কীভাবে, আমরা ভেবে পাই না।"
সন্দেশখালির আরেক মহিলা ব্যবসায়ী বললেন, "সময় বলবে যা বলার। ধৈর্য্য ধরতে হবে।"