Work From Home: আধুনিক কর্ম সংস্কৃতি বাড়িয়ে দিচ্ছে স্ট্রোকের প্রবণতা, বিস্তারিত জেনে নিন…
TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়
Nov 28, 2021 | 8:44 AM
আধুনিক কর্মসংস্কৃতির জন্য আমাদের দীর্ঘ সময় ধরে কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে থাকতে হচ্ছে। বিশেষ করে মহামারী চলাকালীন ঘরবন্দী জীবনে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্যান্য মাধ্যমই ছিল আমাদের সময় কাটানোর একমাত্র ভরসা।
1 / 6
বর্তমান ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ কালচারের জন্য আজ স্ক্রিনের মারফত কাজ করার প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বড় বড় বিজনেস ডিল- সবটাই এখন অনলাইন হয়ে যাওয়ায় স্ক্রিনের সামনেই কাটছে প্রায় সারা দিন।
2 / 6
কিন্তু অনেকেরই হয় তো জানা নেই যে বিষয়টা আমাদের চোখের চাপ, ঘাড়ের ব্যথা, মানসিক উদ্বেগ, স্থূলতা এবং অন্যান্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জটিলতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ও শারীরিক নানান সমস্যা তৈরি করে, বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
3 / 6
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, প্রতি দিনের জীবনযাপনে স্ক্রিন টাইম শেয়ারিংয়ের আপাত হারে বৃদ্ধি আমাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণ। আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনের (American Stroke Association) স্ট্রোক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ৬০ বছরের কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্করা যারা স্ক্রিনের সাম্ননে কাজের সময় বাড়িয়েছে তাদের মধ্যে শারীরিকভাবে সক্রিয় লোকদের তুলনায় স্ট্রোকের প্রবণতা বেশি।
4 / 6
ওই একই প্রতিবেদনে আরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, এক ঘণ্টার স্ক্রিন টাইম একজন ব্যক্তির আয়ু ২২ মিনিট কমিয়ে আনতে পারে; তাদের মধ্যে হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ও ব্যক্তিকে মৃত্যুর কাছাকাছি ঠেলে দেয়। ইউনাইটেড কিংডমের আরেকটি গবেষণায় স্ক্রিন ব্যবহার এবং স্ট্রোকের মধ্যে একটি পারস্পরিক সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে।
5 / 6
এতে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল যে তথ্যে তা বলছে- স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায় যদি স্ক্রিনের কাছে বসে থাকা সময়সীমা প্রতি দিন ঘন্টা দু’য়েক বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্রমাগত স্ক্রিনের মুখোমুখি বসে থাকলে যদি তা দুই ঘন্টার বেশি সময় অতিক্রম করে তখন একে এক ধরনের আসক্তি বা অ্যাডিকশন হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এতেই কিন্তু আমাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা আরও ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
6 / 6
এই গবেষণা সত্যিই উদ্বেগজনক কারণ স্ক্রিন ব্যবহারের প্রবণতা এবং সময়, বিশেষত তরুণদের জন্য ক্রমাগত বেড়েই চলছে। পর্দার নীল আলো আমাদের শরীরের মেলাটোনিন উৎপাদনকে কমিয়ে দেয়। মেলাটোনিন এক ধরনের হরমোন যা রাতে নিঃসৃত হয়, এটি ঘুম এবং জাগরণের সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করে।