এটা আসলে বিজয় দেবেরাকোন্ডার কামব্যাক স্টোরি। নতুন করে ফিরে আসা এবং নিজেকে প্রমাণ করার উপাখ্যান। তা হলে শুনন...
আজ থেকে ৬-৭ বছর আগে হায়দরাবাদ থেকে মাঝরাতের বাসে চেপে মুম্বই এসে পৌঁছেছিল বছর ২৭-এর ছেলে বিজয়। স্বপ্ননগরীতে আসা হাজার-হাজার ছেলেমেয়ের মধ্যে সেও ছিল একজন।
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, ছবি না দেখে ছবি নিয়ে মন্তব্য কীভাবে করা সম্ভব! এবার সপাট প্রশ্ন করে বসলেন তিনি। এভাবে বয়কট কালচার একটা ইন্ডাস্ট্রিকে নষ্ট করে দিচ্ছে বলেই মন্তব্য দক্ষিণী ডিস্ট্রিবিউটরের।
অডিশনে নাকচ হয়ে যান বিজয় দেবেরাকোন্ডা। মন খুবই খারাপ ছিল তাঁর। মনমরা হয়ে শহর ছেড়ে নিজের জায়গায় ফিরে যান। মুম্বইয়ে ঠিক দু'দিন ছিলেন বিজয়। সেখানকার আবহাওয়াও পছন্দ ছিল না অভিনেতার। শহরটার সঙ্গে আত্মীক যোগও স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। হায়দরাবাদে ফিরে গিয়ে কেরিয়ার শুরু করেন। কিছু বছর পর মুক্তি পায় 'অর্জুন রেড্ডি'। যে ছবির হিন্দি রিমেকের নাম 'কবীর সিং'। অনেকে বলেন, 'কবীর সিং'-এর সাফল্যের কারণেই বিজয়ের 'অর্জুন রেড্ডি' সাফল্য পেয়েছে। সে যাই হোক, ৬-৭ বছর বছর ফের বলিউডে এলেন বিজয়...
...এবার বাসে চেপে নয়, বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্টেও নয়। এক্কেবারে গ্র্য়ান্ড এন্ট্রি হয়েছে অভিনেতার। আর এই এন্ট্রি হয়েছে 'লাইগার' ছবির কারণে। বলি স্টার কিড অনন্যা পাণ্ডের বিপরীতে অভিনয় করলেন বিজয়। ২৫ অগস্ট, অর্থাৎ আজই বিজয়ের প্রথম বলিউড ছবি মুক্তি পেয়েছে।
যে মুম্বই রিজেক্ট করেছিল বিজয় দেবেরাকোন্ডাকে, আজ তাঁর 'লাইগার' ছবির পোস্টার ও হোর্ডিংয়ে মুড়েছে স্বপ্নের নগরী মুম্বইকে। এটা কি ভাগ্য, নাকি লেগে থাকা... আসলে চেষ্টার তো কোনও বিকল্প নেই!