ত্বককে সুস্থ রাখতে হলে কখনওই ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। ত্বকে রাসায়নিক দ্রব্য যতই কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভাল। ব্লিচ ব্যবহারে আদতে ত্বকের উপর কু-প্রভাব পড়ে। ব্লিচ করার আগে এই র্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির কথা জেনে রাখুন।
নিয়মিত ব্লিচ করার ফলে ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যায়। এতে ত্বকে সামান্য আঘাত লাগলে তার ক্ষত নিরাময় হতে বেশ সময় লাগে। অন্যদিকে, ব্লিচ ব্যবহারের ফলে ত্বকের ক্ষতগুলো দ্রুত নিরাময় হয় না।
মুখে ব্লিচ ব্যবহার করলে জ্বালাভাব অনুভূত হয় ত্বকে। এর কারণ ব্লিচের মধ্যে সামান্য পরিমাণ পারদ থাকে, তার জেরে জ্বালাভাব অনুভূত হয়। এছাড়া পারদ ত্বকের মধ্যে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয়।
নিয়মিত ব্লিচ করার পর ত্বকের উপর জ্বালাভাব ও পোড়া দাগ তৈরি হয়। এতে ধীরে ধীরে ত্বকে সময়ের আগেই বয়সের ছাপ পড়ে। এই অবস্থা থেকে ত্বককে পুনরায় ফিরিয়ে আনা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
হাইড্রোকুইনোন-যুক্ত ব্লিচ ক্রিম বেশি ব্যবহার করলে ত্বকে পিগমেন্টেশেনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। এতে ত্বকের বর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়। ত্বকে সাদা-সাদা দাগ দেখা যায়। তাই নিয়মিত ব্লিচ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে ব্লিচ করার ফলে ডার্মাটাইটিস হতে পারে। এই অবস্থায় ত্বকে চুলকানি দেখা যায়। শুষ্ক হয়ে ত্বকের উপর চামড়া উঠতে শুরু করে। তাছাড়া এতে ত্বকে অ্যালার্জিও দেখা দিতে পারে। তাই ত্বককে ভাল রাখতে ব্লিচ এড়িয়ে চলুন।