দিনের পর দিন দেশকে সাফল্য এনে দেওয়া ক্রিকেটারদের হয়তো কিছু কিছু প্রত্যাশা থাকে। যেমন- একজন ক্রিকেটার বরাবরই হয়তো আশা করেন, দেশের জার্সিতে তিনি যেন বুক চিতিয়ে শেষ ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। কিন্তু ভারতের এমন ৫ তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন, যাঁরা বিদায়ী ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।
ভারতের জার্সিতে ফেয়ারওয়েল ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি এমন ক্রিকেটারদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন, গৌতম গম্ভীর। ভারতকে ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ জেতানোর জন্য বিরাট অবদান ছিল গৌতম গম্ভীরের। কিন্তু তিনি টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ফেয়ারওয়েল ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি।
গৌতম গম্ভীর দেশের হয়ে শেষ টেস্টে খেলেছিলেন ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ২ বছর পর দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলে তিনি সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
গৌতমের মতো যুবরাজ সিংও ভারতীয় দলের হয়ে বিদায়ী ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ২০১৭ সালে ভারতীয় অলরাউন্ডার জাতীয় দলে ফেরেন এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেন। তারপর একটি সিরিজ থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অবসরের পর যুবরাজ সিং জানিয়েছিলেন, বিসিসিআই তাঁকে বিদায়ী ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি ইয়ো ইয়ো টেস্টে পাস করতে পারেননি। এরপর ইয়ো ইয়ো টেস্টে পাস করলেও আর বিদায়ী ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সময় তিনি অবসর নেন।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় দলে খেলেছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। কিন্তু তিনিও ফেয়ারওয়েল ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ২০১২ সাল থেকে তিনি একাদশে নিয়মিত জায়গা পাচ্ছিলেন না। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন বীরু। কিন্তু আর সুযোগ পাননি। ২০১৫ সালে অবসর নেন।
হরভজন সিংও রয়েছেন এই তালিকায়। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দলের ভাবনায় রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভাজ্জি ২০১৬ সালে ভারতের হয়ে শেষ বার খেলেছিলেন। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের সময় তিনি একাদশে ছিলেন না। টিম থেকে বাদ পড়ার পর ২০২১ সালে অবসর নেন তিনি।
ভারতের অন্যান্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের মতো জাহির খানও বিদায়ী ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের একাদশ থেকে বাদ পড়তে থাকেন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটরে বিদায় জানান। ২০১৭ সাল অবধি আইপিএলে খেলেন তিনি। আইপিএল থেকে অবসরের কথা তিনি ঘোষণা করেননি। কিন্তু বর্তমানে তিনি ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত।