শীতে খুশকির পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যাও দেখা যায়। মাথায় চিরুনি দিলেই এক মুঠো চুল হাতে চলে আসে। এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। কিন্তু চুল পড়া বন্ধ করতে না পারলে মুশকিল।
দিনে ১০০টা পর্যন্ত চুল ওঠা স্বাভাবিক। এর চেয়ে চুল উঠলে আপনাকে সচেতন হতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন অনেক ভুল করে থাকি, যার কারণে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। এই ভুলগুলো এড়িয়ে চললেই আপনি চুল পড়া বন্ধ করতে পারবেন।
শীতে গরম জলে স্নান করা স্বাভাবিক। কিন্তু গরম জলে শ্যাম্পু করা কিংবা গরম জল দিয়ে চুল ধোয়া উচিত নয়। গরম জল চুলের ফলিকলের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল পড়ে।
শীতে চুলেও আর্দ্রতার অভাব দেখা যায়। চুল শুষ্ক হলে উজ্জ্বলতা হারায়। পাশাপাশি চুল উঠতে থাকে। তাই চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে আপনাকে নারকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।
শীতে হট অয়েল মালিশ করতে পারলে খুব ভাল। নারকেল তেলকে ডবল বয়লার পদ্ধতিতে গরম করে নিন। তারপর সেটা দিয়ে স্ক্যাল্পে মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুল পড়া কমে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই উপায় মেনে চলুন।
শীতে সূর্যালোকের অভাবে শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়। এই পুষ্টির ঘাটতি কিন্তু চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। একইভাবে, শরীরে বি ভিটামিনের অভাবও চুল পড়ার জন্য দায়ী। তাই ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখুন।
কেরাটিন ট্রিটমেন্ট, স্মুদনিং, স্পা, কালার করানো—প্রায়শই যদি এগুলো করে থাকেন, এতে কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। যত বেশি রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করবেন, চুলের সমস্যা বাড়বে।
চুলে স্টাইলিং করেন? স্ট্রেটনার, কার্লারের মতো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেন? এতেও কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। এই ধরনের হিটিং যন্ত্রপাতি যত বেশি ব্যবহার করবেন, আপনার চুল রুক্ষ হয়ে যাবে এবং চুল উঠতে থাকবে।